Thursday, September 14, 2017

অবাক কান্ড........ আমার কোচিং এ ব্যাঙের ছাতা ।

অবাক কান্ড........ 
আমার কোচিং এ ব্যাঙের ছাতা

০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার ,০৯:৪০মি:

ছাতা হচ্ছে এক ধরনের নিবারক। রোদের তাপ আর বৃষ্টির পানি থেকে নিজেকে বাঁচাতে আমরা ছাতা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ব্যাঙের ছাতা! ব্যাঙ ও কী তাহলে আমাদের মতো...? 
অভীকের অবাক প্রশ্নে মামণি হেসে দেন। ছেলের হাতে ব্যাঙের ছাতার ছবি দেখে মামণি তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন।
ব্যাঙের ছাতা আসলে এক ধরনের উদ্ভিদ। তবে এর পাতা ও ফুল নেই। এমনকি দেহের কোথাও এতটুকু সবুজ নেই। তবুও এরা উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম মাসরুম। বর্ষাকালে ঘরের আশপাশে, দেয়ালে, গাছের ডালে ব্যাঙের ছাতা দেখা যায়। সাধারণ উদ্ভিদের মতো এরা অজৈব পদার্থ থেকে নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। কোনো উদ্ভিদ বা জীবজন্তুর বিকৃত দেহকে আশ্রয় করে সেখান থেকে এরা প্রয়োজনীয় খাদ্য বা পুষ্টিরস সংগ্রহ করে থাকে। ব্যাঙের ছাতার দু’টি অংশ। এদের ওপরের অংশে টুপি বা মাথা এবং নিচে লাঠির মতো বোঁটা বা বৃন্ত থাকে। পৃথিবীতে এদের অসংখ্য জাত রয়েছে তবে সব জাতে কিন্তু বৃন্ত বা টুপি থাকে না। আবার অনেকের টুপি থাকে কিন্তু বোঁটা থাকে না। কোনো কোনো ছাতার টুপির নিচে সূচের মতো অনেক দাঁত থাকে। প্রবালজাতীয় ব্যাঙের ছাতা কখনো কখনো সরু বা মোটা লাঠির মতো আবার কখনো শাখা-প্রশাখাযুক্ত ছোট গাছের মতো দেখতে হয়। আকারহীন বা সজারুর কাঁটার মতোও ব্যাঙের ছাতা আছে। ব্যাঙের ছাতাকে বিজ্ঞানীরা ‘ছত্রাক’ নামে অভিহিত করেছেন। বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা বাদে কয়েকটি ধরন মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এতে আমিষ এবং ভিটামিন বি, সি ও কে রয়েছে। মাসরুম সবজি, ভর্তা, চপ এবং গোশতের সাথে রান্না করেও খাওয়া যায়। জাপান, সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ডে ব্যাঙের ছাতা খুব প্রিয় খাদ্য। সেখানে এসব চাষ করা হয়। আমাদের দেশেও এর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে।