Monday, June 27, 2016

ঢাউস সাইজের কোন দালান।

প্রকৃতির গণমৃত্যু.....
------------------
গণপরিবহনে ঘণমানুষের একজন হয়ে চলাচলের সুখই আলাদা। অামি অবশ্য এমন সুখের লোভে চলি না। চলি ,উপায় নাই বলে। তারপরও ধান্ধায় থাকি,ফাঁক খুঁজি, জানালার পাশে বসবার। জানালার পাশে সিট না পেয়ে,এক বাস ছেড়ে পরের বাসে উঠেছি। এটা আমার পুরোন ব্যামো। এই ব্যামোর মূল কারণ দেখা,দেখতে দেখতে আসা-যাওয়া। দিন গড়ানোর সাথে চেনা পথটারও চেহারা বদলায়। এই বদল কেবলই বেদনার, প্রকৃতির গণমৃত্যুর ছবি। তবুও আশায় থাকি,চেনারূপের ঘ্রাণ নেবার। জানালায় চোখের সাথে হাতে থাকে ছবি তোলার যন্ত্রটাও। এই চেনা ছবিটাকে মিস করিনি। জানি অন্যকোন দিন,অন্যবছর এখানেই হয়তো বুক চিতিয়ে,দাঁত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ঢাউস সাইজের কোন দালান।






Friday, June 24, 2016

এই নদী কথা কয়, নদী কাঁদে,

এই নদী কথা কয়,
নদী কাঁদে,
নদী কহে তার যৌবনের কথা,
চিৎকার করে নিয়তই কহিছে
বন্ধ্যা জীবনের সকরুণ গাঁথা।




Wednesday, June 22, 2016

এই মানুষটিরও স্বপ্ন ছিল, প্রজাপতি মন ছিল, ছিল পুষ্প-শুভ্র রূপ।

এই মানুষটিরও স্বপ্ন ছিল,
প্রজাপতি মন ছিল,
ছিল পুষ্প-শুভ্র রূপ।
হাঁটায় তাঁর ছন্দ ছিল,
বাজতো ঘুঙুর-নূপুর।
মেঘবরণ কেশ ছিল,
দুধ-আলতা রঙ ছিল,
হরিন কালো চোখ ছিল,
হয়তো একদিন
দিনও ছিল তাঁর ,
এমন দিন আসবে
তোমার আমার !!!





Monday, June 20, 2016

ঘুমুলেই যদি যম দূত হানা দেয় ঘরে।

গভীর রাত,জোসনার মত মায়াময় আলোয় ভরা ঐ যে গৃহকোন, কেউবা সেখানে নিংড়ে নিচ্ছে জীবনের সুখ-সুধা।
নীচে,আরও নীচের ধুপছায়া আলোর ঘরে হয়তোবা কেউ জীবনযন্ত্রনার কৃষ্ণপাথর বয়ে চলেছে অবিরাম। 
সাদারঙ বাতির আভা,সেখানে হয়তো কোন মা অপলক চেয়ে অাছেন অসুস্থ সন্তানের মাথাটি কোলে রেখে,ঘুম নেই,ঘুমুলেই যদি যমদূত হানা দেয় ঘরে। 
লালচে আলো জ্বলছে যেখানে,সেটি হয়তোবা কোন খোলাজানালা,যার গ্রিল ধরে ছোট ভাইটির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে বোন। ভাইটি তার সন্ধ্যা গড়ানোর পর বাইরে থাকেনি কোনদিন। 
বারান্দায় জ্বলছে যে আলোটি সে বারান্দার রেলিং ধরে গলির মোড়ের দিকে অপলক চেয়ে আছে কোন এক গৃহবধু,স্বামী যার এখনও ফেরেনি ঘরে।
নীল আলোটির নিচে হয়তোবা কোন পিতা উদাস,নিদ্রাহীন,রাত পেরুলেই যাকে রেখে আসা হবে কোন এক বৃদ্ধাশ্রমে।
ঐ যে,বাম দিকে,আরও বামে ,হ্যাঁ ঠিক ঐখানে হয়তো কোন..................।
-------------------
গতরাতে তোলা ঢাকার রাত।



Saturday, June 18, 2016

কে কি ভাবলো তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না....

কে কি ভাবলো তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না....
--------------
ছবিটি গত সূর্যাস্তের ঠিক ১৫ মিনিট আগে আমার বাড়ি থেকে ১০ মিনিট দূরের অবস্থান থেকে তোলা। এমন অজস্র রূপময় প্রকৃতি প্রতিক্ষণ ছড়িয়ে থাকে আমাদের চারপাশে। একটু নজর দিলেই তুলে রাখা যায়। নিজের আনন্দের জন্য,অন্যকে আনন্দ দেবার জন্য। এর বাইরেও অসীম মূল্য আছে আপনার তোলা প্রতিটি ছবির।আমাদের এইসময়ের প্রকৃতি,তার রূপ একযুগ পরে এমন থাকবে না,বদলে যাবে। যেমন নেই একযুগ আগের রূপের সাথে,বদলে গেছে। আপনার শৈশব,কৈশর যৌবনের চেনা,আপন জগৎটাকে নিজের কাছেই রাখুন। কে জানে আজ থেকে শতবছর কিংবা একযুগ পরে আপনার তোলা শখের একটি ছবিই হয়ে যেতে পারে আলোচিত কোন ডকুমেন্ট।
বলবেন ছবি তোলার জন্য বাড়তি সময় কই? বাড়তি সময়,বাড়তি খরচের কোনও বালাই নেই। গত দু বছরে আমি যতগুলো ছবি ফেসবুকে দিয়েছি তার ৯০ ভাগ ছবিই আমার বাসা আর কর্মস্থলের দুইবর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্য থেকে তুলেছি। এই স্পেসের মধ্যেই আমি কাজে যাই,বাজারে যাই,বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে, আড্ডা দিতে, নিমন্ত্রন রক্ষা করতে যাই। এই যাওয়া আসার পথে এবং নিত্যদিনের হাঁটাহাটির ফাঁকেই এক-দু মিনিট দাঁড়িয়ে ছবি তুলে রাখি।কখনও চলন্ত রিক্সায় বসে,কখনও রিক্সা থামিয়ে দশ পনেরো সেকেণ্ডে তুলি ফেলি । স্পষ্ট করে বলে রাখি শুধু ছবি তোলার লক্ষ্য নিয়ে একটি দিন,একটি ঘন্টাও বাড়তি ব্যয় করিনি।
প্রশ্ন করবেন তুলবেন কি দিয়ে ! সেটাও কোন সমস্যা না। আপনার হাতে যে সেল ফোনটি আছে,সেটি দিয়েই তুলুন। আমি ছবি তুলি আমার হাতে থাকা সেলফোনের ক্যামেরা দিয়ে। বলবেন ওতো দামি ফোন, না ৪বছর আগে কেনা সাধারণ মানের SAMSUNG GT-S7562 মডেলের ফোন দিয়ে।
ছবি তুলুন,প্রিয় মাতৃভূমির অসীম রূপকে চারপাশে ছড়িয়ে দিন,প্রকৃতির ছবি দেশকে ভালবাসতে শেখায়,ভালবাসা জন্মায় জন্মভূমির প্রতি ইঞ্চির জন্য। শুরু করুন,আজই আমার মত শখ করে “{https://www.facebook.com/ILovesbt/?ref=bookmarks}”। কে কি বললো তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।


Friday, June 17, 2016

আপেলের শেষ চিঠি 
.......................................
 আপেল,
ডাক নাম আপেল।
গায়ের রঙ দুধে আলতা ,
চোখা নাক,কোঁকড়ানো কালো চুল,
উচ্চতা,পাঁচ ফুট চার কিংবা পাঁচ ,
পেটা শরীর,আমাকেও পিটিয়েছে,রাগ করে ।

আপেল শেষ চিঠি লিখেছিলি নবদ্বীপ,
পশ্চিমবঙ্গ থেকে, 
বত্রিশ বছর আগে।
অনেকটা পেঁচানো লেখা,
ডানদিকে ঈষৎ কাত করে লিখতি, 
আমার চেয়ে অংকে ভাল ছিলি,আমি ছিলাম বাংলায়।

অমি এখনও অংকে কাঁচারে আপেল,
তবে পেকেছে দাঁড়ি-গোঁফ।
জানিস,টাকের হাতে পরাভূত 
আমার চুলগুলো এখনও কালো ,
তুই কালোচুলের পাগল ছিলি,
মনে আছে তার কথা...।

তোদের বাড়িটার সামনে দিয়ে এখনও রোজ যাই,
আগে যেতাম তোর টানে,
এখন যাই পেটের দায়ে।
চোখটা তবুও পড়ে তোদের টিনের ঘরে,
কারা যেন থাকে,অন্যরকম,
তোদের বেঁচে দেয়া বাড়ি, 
উঠোনের রঙ,
গন্ধটাও বেদলেছে অঙিনার।

আপেল, 
কেমন অছিস রে ? 
সেই কবেকার কথা,ভোর বেলা ,
হাত ধরে বললি ‘দোস্ত যাইরে’
আর কোন কথা ছিলনা আমাদের !
সাদা হাফপ্যান্ট,
আকাশী শার্টে শেষ দেখা আপেলকে
আবার দেখতে ইচ্ছে করে।
.......
[ আপেল আমার শৈশব-কৈশরের বন্ধু,নবদ্বীপ থাকে,এখনও শুধু ওটুকুই জানি]


Sunday, June 12, 2016

চারিদিকের পোড়ামাটির গন্ধ,বিষময় সাদা ধোঁয়ায় চোখের নয়,মনের কষ্টটা বাড়ে।

যতবার বাড়ি থেকে ঢাকা যাই,আসি,ততবার কুমিল্লা আলেখার চর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আর গুনতে চেষ্টা করি ইট ভাটার সংখ্যা। কোন দিন তিরিশ, কোনদিন চল্লিশ পর্যন্ত গুণেই রণেভঙ্গ দেই । 
চারিদিকের পোড়ামাটির গন্ধ,বিষময় সাদা ধোঁয়ায় চোখের নয়,মনের কষ্টটা বাড়ে। মনে পড়ে,এই দিগন্ত বিস্তৃত এই ইট ভাটাময় জমি গুলোতে এক সময় গাঢ় সবুজের প্লাবন,সুবর্ণ ফসলের ঢেউ দেখেছি বাসের জানালায় বসেই।






Saturday, June 11, 2016

আমার তোলা সবচেয়ে প্রিয় কয়েকটি ছবির একটি হচ্ছে এই কাকতাড়ুয়ার ছবিটি।

আমার তোলা সবচেয়ে প্রিয় কয়েকটি ছবির একটি হচ্ছে এই কাকতাড়ুয়ার ছবিটি। খুব যত্ন করে রাখি ছবিটাকে। ব্যবহারও করি মাঝে মাঝে। 
আমাদের রাষ্ট্র,সমাজ,রাজনীতি এবং ব্যক্তি জীবনের অনেক সময়,অনেক কিছুর, অনেক ঘটনার সিম্বল হয়ে উঠে এই কাকতাড়ুয়া  ।



Thursday, June 9, 2016

তাল বিষয়ক একখানা বায়োমেট্রিক অভিসন্দর্ভ..

তাল বিষয়ক একখানা বায়োমেট্রিক অভিসন্দর্ভ..
-------------------
গাছের ‘তাল’ আর নৃত্য-গীতের ‘তাল’র বানান এক,তবে চীজ কিন্তু আলাদা। একটারে হাতে ধরা যায়,মাথায় নেয়া যায়,চাইলে আছাড়ও মারা যায় কিন্তু অন্যটারে হাত কিংবা পা কোন কিছু দিয়ে বাঁধা যায় না,ছোঁয়াও যায় না। কেবল ইন্দ্রিয় নামক অদৃশ্য এক যন্ত্র দিয়ে ধরা যায়,বোঝা যায়,অনুভব করা যায়।
তালের আবার যন্ত্রও আছে,যাকে বলে ‘তালযন্ত্র’। 
তাল কিন্তু ঋতু প্রেমি,ভাদ্রের সাথে তার গভীর প্রেম। 
তাল নিয়ে ঢংও কম নয় । জীবনে যে তাল দেখে নাই,খায় নাই,সেও খুববেশী গরম পড়লে,হাঁসফাঁস করে আর বলে,‘তালপাঁকা গরমে জীবন যায় যায়’।
তাল কিন্তু শৃংখলা মানে,যেমন প্যারেড। সবাই কেমন তাল মিলিয়ে তালে তালে হাঁটে,খুব সুন্দর লাগে,তালে হাঁটা।
চাটুকারেরাও কিন্তু তাল থেকে দূরে না। নেতা বক্তৃমা শুরু করলে,ভাল মন্দ যাই বলুক এরা তুুমুল তালে তালিয়া বাজায়।
তলে তলে খোঁজ নিয়ে দেখেন গিয়া,জামাই আদরে তালের শাঁষ,তেলে ডুবানো তালের পিঠার বাজার কিন্তু মন্দা না। 
সময়ের সাথে,সংসারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে কিন্তু খবর আছে,সবাই ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে টপকে যাবে।
তাল কিন্তু দানবীরও বটে, ত্রি-তাল,বুহিতাল,হরতাল,চাতাল,পাতালের মত অসংখ্য শব্দ সাপ্লাই দিয়ে সে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে ঋদ্ধ করেছে। 
বাংলার কবিকুল কিন্তু তাল বিমুখ ছিলেন না,তাহারা তাল লইয়াও কাব্য রচনা করিয়াছেন,যেমন..
“তাল কাটোরে তাইল্যা ভাই
তালের ডগা দিয়া,
হাত্তি নাচে,ঘোড়া নাচে,
তাল খাইয়া খাইয়া।”
সবশেষে বলি
তালের মধ্যে কিন্তু কঠিন বেতালও আছে,একটু-আধটু সোমরস,সুরার সুগন্ধি নাকে গেলে অনেকেই দিব্যি বে-তাল হয়ে পাতালে গড়াগড়ি খান।__ব্লগার টিপু মামা__