Sunday, April 24, 2016

জোসনা মাড়িয়ে যাবে...

জোসনা মাড়িয়ে যাবে...
----------------------

জানালায়,বাঁদুরের মত
কেবলই ঝুলে থাকে
নিথর দিগন্ত,শঙ্কাময় হাট,
স্তব্ধ সাগর,শুন্য শ্মশানঘাট।

সুনামী সংকেত
দূর থেকে কাছে আসে
কেঁপে ওঠে ফসলের মাঠ ।
জোসনা মাড়িয়ে ছুটে যাবে

রহস্যের কালো বুট
দানব পাগলা ঘোড়া,
শিকারী শকুন ছিঁড়ে খুঁটে খাবে
স্বপ্ন সকল,যা কিছু ছিল
অগ্নি-শপথে মোড়া।

.........................
ব্লগার_টিপু_মামা




Wednesday, April 20, 2016

সফলতার রহস্য---- ব্লগার_টিপু_মামা

সফলতার রহস্য

লোকজন সব সময় আমাকে জিজ্ঞাসা করে সফলতার রহস্য কী?

প্রথম নিয়ম হচ্ছে, “নিজের উপর আস্থা রাখ”। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাকে আরও গভীরে ঢুকতে হবে এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে তুমি “কে” হতে চাও? “কী” না কিন্তু “কে”? তোমার বাবা মা বা শিক্ষকরা কী চেয়েছেন তা বলছি না, তুমি নিজে “কে” হতে চাও এটার কথা বলছি। আমি বলছি, তুমি খুঁজে বের কর কী তোমাকে সুখী করে সেটা অন্যদের কাছে যতটাই পাগলামি মনে হোক না কেন। তাই প্রথম নিয়ম অবশ্যই নিজের উপর আস্থা রাখা, কে কিভাবে চিন্তা করল ওটা দেখার বিষয় না।
দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে, “নিয়ম ভেঙ্গে ফেল ”। এই জীবনে আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের অনেক নিয়ম আছে। আমি বলছি নিয়ম ভাঙো কিন্তু আইন না। একজন ভবঘুরে বা সত্যিকারের মানুষ হওয়া অসম্ভব যদি না তুমি খুব ভাল স্বভাবের হও এবং নিয়ম ভাঙ্গতে না চাও। তোমাকে বাক্সের বাহিরের কথাও চিন্তা করতে হবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। সর্বোপরি এই পৃথিবীর সবকিছু অন্যের পছন্দ মত হবে এবং সব সমস্যার উর্ধে হবে এমনটা চিন্তা করা ঠিক না। কিন্তু নিয়ম ভাঙ্গাই হচ্ছে আমার একমাত্র পথ যার কারণে আমি কোথাও স্থান পেয়েছি।
তৃতীয় নিয়ম হচ্ছে, “পরাজিত হতে ভয় পেওনা”। আমি এখন পর্যন্ত যা’ই করেছি আমি সব সময় চাইতাম আমি যেন পরাজিত হই। তুমি সব সময় জয়ী হতে পারবে না কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পেও না। তুমি পরাজয়ের ভয়ে অক্ষম হয়ে যেও না। তুমি নিজের মধ্যে তাড়া অনুভব করবে কারণ তুমি নিজেকে বিশ্বাস করো, তোমার দর্শনকে বিশ্বাস করো এবং তুমি জানো এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত আর এভাবেই সফলতা আসবেই। কাজেই পরাজিত হতে ভয় পেও না।
চতুর্থ নিয়ম হচ্ছে, “নেতিবাচক মানুষদের কথায় কান না দেয়া”। তুমি কতবার শুনেছ যে, তুমি এটা পারবে না, তুমি ওটা পারবে না, এটা এর আগে কেউ কোনদিন করেনি? আমি এটা ভালবাসি যখন যখন কেউ বলে যে, এই কাজটা এর আগে কেউ করতে পারেনি কারণ, যখন আমি এটা করি এবং এটার মানে হচ্ছে, আমিই প্রথম যে এটা করেছে। কাজেই ঐসব লোকের কথায় কান দিবে না যারা বলে, এই কাজ কখনো হবে না। আমি সবসময়ই আমার নিজের কথা শুনি আমি বলি, “হ্যাঁ, তুমি পারবে “।
পঞ্চম নিয়ম হচ্ছে, “অক্লান্ত পরিশ্রম করা”, এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। আমি প্রত্যেক সম্ভাব্য পথে কাজ করার পক্ষপাতি। মোহাম্মাদ আলি, আমার মহান বীরদের মধ্যে একজন, যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল “আপনি কতগুলো সিট-আপ দেন?” তখন তিনি বলেছেন, “আমি আমার সিট-আপ গণনা করি না। আমি তখনই এটা গণনা করি যখন আমি ব্যথা পেতে শুরু করি। যখন আমি ব্যথা অনুভব করি তখন আমি গণনা শুরু করি কারণ তখনই সত্যিকারের গণনা করার সময়, এবং এটাই তোমাকে চ্যাম্পিয়ন করে দিবে।” কথায় আছে “কষ্ট ছাড়া মিষ্ট লাভ হয় না”। তুমি বলতে পারো জীবনে হাসি-ঠাট্টারও দরকার আছে। কিন্তু তুমি যখন পার্টিতে আনন্দ ফুর্তি করবে তখন একই সময়ে অন্য কেউ কঠোর পরিশ্রম করবে, অন্য কেউ আরও সুদর্শন হবে এবং অন্য কেউ জয়ী হবে। কাজেই কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন বিকল্প পথ নাই।
ষষ্ঠ নিয়ম হচ্ছে, “কিছু ফিরিয়ে দেয়া”। তুমি যা কিছুই অর্জন করো না কেন, তোমাকে কিছু ফিরিয়ে দিতে হবে, তোমার কমিউনিটি জন্য, তোমার এলাকার জন্য, তোমার দেশের জন্য। তুমি যা কিছু করো না কেন, মানুষকে সাহায্য করে যে পরিমাণ আনন্দ পাবে, অন্য কোন কিছুতে এত আনন্দ পাবে না।
* এই ছয় নিয়ম মনে রেখো। ------ব্লগার_টিপু_মামা ।

আমার হালট

আমার হালট
---------------
আমার জন্ম হয়েছে গ্রামের বাড়িতে। তবে হামাগুড়িকাল থেকে বড় হয়েছি শহরের কেন্দ্র স্থলের সবচেয়ে সুন্দরতম একটি আবাসিক এলাকায়।আজও সেখানেই আছি। কিন্তু আমার জন্মস্থান,আমার আঁতুর ঘর যে গ্রামে সে গ্রামের প্রতি ইঞ্চি ভূমির সাখে আমার যে সখ্য,যে নাড়ীর বাঁধন তা আজও স্মৃতির হাঁটে জীবন্ত। 
আমার গ্রামটি অন্য দশটি গ্রামের মতই বদলে গেছে। হিরন্ময় স্মৃতির সে সব আঙিনা বিবর্ণ হয়ে এলেও সম্পূর্ণভাবে হারিযে যায়নি । ছবির এই পথের মত গলি পথকে আমরা বলতাম হালট । শতরকমের গাছ-গাছালি,বিশেষ করে,বাঁশঝাড় গাব আর হিজল গাছে ছাওয়া সুরঙ্গের মত ছিল প্রিয হালটেরা । বাড়িতে গেলেই ডাংগুলি,মার্বেল থেলা, দারিয়াবান্ধা, চাড়া খেলায় মুখর হয়ে থাকতাম এই সব শ্যামল পথে,হালটে। কত প্রিয়জন,প্রিয়মুখ ছিল সে সব খেলার সাথী। তাদের অনেকের নাম আজ আর মনে আসে না, কোথায় আছে তারা ,কেমন আছে,বেঁচে আছে কিনা,জানি না। আমার সেই সব হালটেরা ক্রমশঃ মরে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে। এই প্রজন্ম,এমনকি আমার মেয়েটাই হালট বলে কিছু চেনে না,জানে না তার রূপসাগরের রঙ।
আমার শৈশব,কৈশরের স্মৃতিমাখা হালট । অসংখ্য হালটের মধ্যে কেবল এই একটি আজও ম্লানমুখে,রূপহীন বেঁচে আছে। ছবিটি তিনমাস আগে তোলা।




ব্লগার_টিপু_মামা



Friday, April 1, 2016

ব্লগার_টিপু_মামারে "শুধু লাথি মেরেছে, বোমা মারেনি "!!

গত শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময়ের ঘটনা । বড় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফিরলাম। লাথিটা বেশ জোরেশোরেই খেয়েছিলাম। খুতবার আগে চার রাকাত সুন্নত পড়ছিল অনেকেই। আমি চোখ বন্ধ করে জিকির করছিলাম, ডান কাঁধে তার পায়ের ধাক্কায় সামনের দিকে প্রায় উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি একবারও ফিরে তাকালেন না, সামনের কাতারে চলে গেলেন। মধ্যবয়সী প্যান্ট শার্ট পড়া একজন ভদ্রলোক।
সব বাবাদের প্রতি অনুরোধ। কি করে আদব কায়দার সাথে একজনকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যেতে হয়, তা আগে নিজে শিখুন। তারপর আপনার সন্তানদের শেখান।
-বাবা তুমি বড় ভাগ্যবান
-কেন মা?
-শুধু লাথি মেরেছে, বোমা মারেনি!!