Monday, February 24, 2014

Blogger TIPU MAMA: -ব্লগার টিপু মামা-শুধু 'টোকাই' বলে

Blogger TIPU MAMA: - Blogger Tipu Mama - just 'street children' says : Just 'street children' to be torn pyantata ----------------- study, the lack of clean shirts were dirty. Culagulo usko - khusko, not the oil ...

-ব্লগার টিপু মামা-শুধু 'টোকাই' বলে

শুধু 'টোকাই' বলে
-----------------

পড়নের প্যান্টটা ছেড়া,
শার্টটা পরিষ্কার করার অভাবে
ময়লা হয়েছে।
চুলগুলো উশ্কো-খুশ্কো,
তেল না দেয়ার কারনে একটু
লালচে রং ধরেছে।

কাঁধে ঝোলানো একটা ব্যাগ,
কখনও ডান কাঁধে কখনও বাম কাঁধে।
কোনো ফেলে দেওয়া বস্তুর খোঁজে
পথে-পথে নয়তবা কোনো পার্কে।

চোখে যেন কি ছিলো, কি বলে?
সেটা সে জানেনা, যখন কাঁদে কেবল
তখনই তার মনে পড়ে
চোখে একটা সপ্ন ছিলো, আজ আর নেই।

খোলা আকাশের নিচে
কখনও বা কোনো ফুটপাতে
শোয়ার জায়গাটা ঠিকই হয়ে যায়
কিন্তু পরের দিন আবার জায়গা বদল।

আকাশটা যখন পরিষ্কার থাকে
তখন সেই রাতের আকাশে অনেক
তারা দেখা যায়।
কিন্তু যখন আকাশ মেঘলা হয়
তখন সেই রাতের আকাশে কোনো
তারা দেখা যায় না।
আমার জীবনটাও এরকম।

প্রতি রাতে ঘুম আসে ঠিকই
তবে পরের দিন সকালবেলা
গায়ে পড়ে থাকা শার্টের কলারটা
ভীজে ভীজে লাগে, মনে হয় একটু
কেঁদেছিলাম।

যাদের বংশপরিচয় কিছুই নেই,
যারা এতিম তাদের জীবনটা
কেবল এমনই তাই না।
নয়তো আমার কেউ নেই কেনো,
পথে-পথে কেনো ঘুরি, ফুটপাতে
কেনো ঘুমাই।

ঐ ত সেদিন পার্কে বোতল টোকাচ্ছি,
এক বড়লোকের একটা মোবাইল
চুরি হয়েছিলো,
আমাকে চোর ভেবে বেধরক পেটালো।

কেউ আসেনি আমায় ঐ বড়লোকের
মার থেকে বাঁচাতে,
কেউ বলেনি আমায় ঐ ছেলেটা
চুরি করেনি।

কেনো মা,
এত কষ্ট আমায় দিয়ে দূরে আছো।
কেনো বাবা,
তুমিও অভিমান করে চলে গেছো।

আর হাঁসবোনা
কেঁদেই যাবো, শার্টের কলার ভেজাবো।
চোর নই তবুও ওদের মত বড়লোকের
কাছে মার খেয়েই যাবো।

শুধু টোকাই বলে।

লেখা -ব্লগার টিপু মামা-









Friday, February 21, 2014

Blogger TIPU MAMA: কিছুই তো যায় না ভুলা, কিছুই তো যায় না বলা

Blogger TIPU MAMA: I do not deceive, do not say things are : nothing is so deceiving, can not say things just go the way of the gray afternoon alone. If the birds do not need to post at the end of summer to remember someone ...

কিছুই তো যায় না ভুলা, কিছুই তো যায় না বলা



কিছুই তো যায় না ভুলা, 
কিছুই তো যায় না বলা
শুধু শুধু ধুসর বিকেলে একা একা পথ চলা৷
ময়না পাখি গরমে থাকে না
প্রয়োজন শেষে কেউ মনে রাখে না
মেলা শেষে একা পড়ে থাকে বিষন্ন বট তলা৷
জীবনের নদী কোথাও থামে না
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মানে না
বেলা শেষে ব্যাথার ময়না ছড়িয়ে ফুরায় নিস্ফলা৷ 
আদিত্য অনীক

-ব্লগার টিপু মামা-


সেরা কিছু ছবি









Thursday, February 20, 2014

Blogger TIPU MAMA: একুশ আনে

Blogger TIPU MAMA: একুশ আনে: একুশ আনে  ========  একুশ আনে দীপ্তি প্রাণে, মুক্তিকামীর অহংকার  একুশ আনে কথায় গানে সূর লহরীর অলংকার ।  একুশ আনে প্রাণের ছোয়া শব্...

একুশ আনে

একুশ আনে 
======== 

একুশ আনে দীপ্তি প্রাণে, মুক্তিকামীর অহংকার 
একুশ আনে কথায় গানে সূর লহরীর অলংকার । 
একুশ আনে প্রাণের ছোয়া শব্দ স্রোতের ঝংকারে 
একুশ বাণে আলোক ছড়ায় মুক্তি ধনুর টংকারে ।

একুশ আনে ভাষার দাবী রুদ্ধ-বাকের মুক্তিতে 
একুশ আসে প্রাণের কথা ব্যক্ত করার যুক্তিতে ।
একুশ আনে সালাম রফিক বরকতে আর জাব্বারে 
একুশ আনে শফিউরে, আমজনতা বারবারে ।

একুশ শুরু বায়ান্নে যার একাত্তরে হয়নি শেষ 
একুশ আনে মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
একুশ শেখায় ছিঁড়তে শিকল দাসত্বেরী কাঁকন-হার 
একুশ শেখায় অত্যাচারীর ভাঙ্গতে আগল বারংবার ।

একুশ ফিরে আসলো, শপথ আনলো সাথে মজলুমের 
জালিম যতোর ভাঙ্গতে প্রাসাদ টুটিয়ে দিয়ে কাল-ঘুমের ।

-ব্লগার টিপু মামা-




Saturday, February 15, 2014

আমি বাবার কথা মত মহাপুরুষ হওয়ার হোম ওয়ার্ক করেই যাচ্ছি।

আমি বাবার কথা মত মহাপুরুষ হওয়ার
হোম ওয়ার্ক করেই যাচ্ছি।
ভরা পূর্ণিমা আমার মনে আবেগহীন
তরঙ্গের সৃষ্টি করে। 
আটচল্লিশটি বছর পার হয়ে গেল ।
আমার স্বপ্ন পূরনের 
ব্যর্থহীনভাবে হাঁটতে শুরু করেছি ।
সেই উনিশ শত সাতষট্টি সাল থেকেই 
অনাবৃত পায়ে তখন হাঁটতে বেরিয়ে পড়ি। 
আমার চোখে থাকে তৃষ্ণা। 
স্বপ্নপূরণের তৃষ্ণায় কাতর হয়ে 
ক্লান্তি হীনভাবে হেঁটে যাই।
তারপরেও 
এই পথ যদি না হয় শেষ ।।

-ব্লগার টিপু মামা-









Friday, February 14, 2014

Blogger TIPU MAMA: নিহারিকা বুঝবে তুমি বুঝবে , টিক তখনি বুঝবে , তোমার...

When I thakabana, 
he supposed, 
was the dise Hara, 
I just khujabe, 
eye float in water face, 
palm and delete, 
hide the tears wet mouth, 
khujabe an oddity to me, 
you know niharika know, 
mark only understood 
what I was you ..

- Blogger Tipu Mama -

নিহারিকা বুঝবে তুমি বুঝবে , টিক তখনি বুঝবে , তোমার আমি কি ছিলাম ।।

যখন আমি থাকবনা ,
তখন হয়তো বুঝবে ,
দিশে হারা হয়ে তখন ,
আমায় শুধু খুজবে ,
আঁখি জলে ভাসা মুখটি ,
হাতের তালুতে মুছবে ,
কান্না ভেজা মুখ লুকাতে ,
আমার বুকটি খুজবে ,
নিহারিকা বুঝবে তুমি বুঝবে ,
টিক তখনি বুঝবে ,
তোমার আমি কি ছিলাম ।।

-ব্লগার টিপু মামা-

ভালোবাসার কিছু ছবি ...















Thursday, February 13, 2014

Blogger TIPU MAMA: ভালোবাসা....তুমি কখনও বুঝতেই চাওনি ।

Blogger TIPU MAMA: caoni love .... You never know. : Were you ever dekhoni guiding you, you never think you know caoni was. With you in mind, because sometimes I khujoni!! Find out today ....

ভালোবাসা....তুমি কখনও বুঝতেই চাওনি ।

ছিলাম তোমার মনের আকাশে
তুমি কখনও দেখোনি ,
ছিলাম তোমার মনে
তুমি কখনও বুঝতেই চাওনি ।
কারণ তুমি কখনও আমায় মন দিয়ে খুজোনি !!
খুঁজে দেখো আজও.......
আমি আছি তোমার খুব কাছে ,
এখনো কোথাও হারিয়ে যাইনি....

ব্লগার টিপু মামা
















Monday, February 10, 2014

Blogger TIPU MAMA: আমার মত প্রেমহীন একা মানুষগুলোকে উৎসর্গ করলাম এই অ...

Blogger TIPU MAMA: আমার মত প্রেমহীন একা মানুষগুলোকে উৎসর্গ করলাম এই অ...: "দেখতে দেখতে আরো একটি ভালবাসা দিবস চলে এল সামনে !  কিন্তু এখন পর্যন্ত মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভালবাসার না বলা কথাগুলো কাউকে মুখ ফুটে...

আমার মত প্রেমহীন একা মানুষগুলোকে উৎসর্গ করলাম এই অধম -ব্লগার টিপু মামা-

"দেখতে দেখতে আরো একটি ভালবাসা দিবস
চলে এল সামনে ! 
কিন্তু এখন পর্যন্ত মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভালবাসার
না বলা কথাগুলো কাউকে মুখ
ফুটে বলতে পারলাম না।

এমন না যে এই
কলেজে কাউকে আমার পছন্দ
হয়নি, পছন্দ হয়েছে অনেককেই কিন্তু সবারই
কেউ একজন আছে যারা সেই প্রিয় মানুষের
চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাই
দূরে বহুদূরে আবার হাত ধরে ক্যাম্পাস ও এর
আশেপাশের সুন্দর
জায়গাগুলোতে ঘুরাঘুরি করে। অথচ আমি এখন
পর্যন্ত আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের সব
সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারিনি, কারণ
আমার তো তেমন কেউ নেই।
যাহোক, প্রথম যখন
কলেজে ভালবাসা দিবস দেখলাম
তখন ভেবেছিলাম, “এবার তো সবেমাত্র
আসলাম আগামীবার আর একা একা থাকব
না ততদিনে একজন মনের মানুষের
দেখা পাব” কিন্তু বিধিবাম।

অন্যান্যবারের মত
এবারো ভালবাসা ছড়িয়ে যাবে আকাঁশে বাতাসে
হৃদয়ে হৃদয়ে।
ফুলে ফুলে ভরে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।
আমার প্রিয় ছোট বন্ধুরা 
(রিটু,মহসিন,সাইফুল,নঈম,মিঠু,তপু,রোমেন,মোমেন...)
এত সব ব্যাস্ততার মাঝে যেটুকু
সময় পাবে তা তোলা থাকবে কারও একান্তে...।

প্রিয় মানুষের মিষ্টি কণ্ঠের
উদার আহ্বানে সাড়া দিতে বন্ধুরা আমার
বন্দুমাত্র পিছপা হবেনা। আমাকে উপহাস
করবে এখানে সেখানে পড়ে থাকা ফুলগুলো ।
একটা পাপড়িও জুটবে না আমার কপাঁলে ।

মাঝে মাঝে ভাবি, ছলনা করে হলেও
যদি কেউ হাতে হাতে রাখত, অন্তত একবার
ভালবাসি বলত!!! খুব অভাব বোধ করি একজন
পথচলার সহযাত্রীর। আমি এখন স্বপ্নহীন,
অন্ধ পথিক। আমার স্বপ্নমহল ধুলোয় মিশেছে।
ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে ঝলমলে সোনা রোদ
চারিদিক আলোকিত করলেও মনের
ভেতরটা সীমাহীন অন্ধকারেই থেকে গেল।
আমার সেই শাশ্বত প্রেম আর ধরা দিলো না......

আমার মত প্রেমহীন
একা মানুষগুলোকে উৎসর্গ করলাম এই অধম
-ব্লগার টিপু মামা-












Sunday, February 9, 2014

বিষন্নতা এক ধরনের শিল্প

বিষন্নতা এক ধরনের শিল্প। 
এ শিল্পচর্চায় মনোনিবেশ করেছি। 
নির্জন জোনাকির দেশে বসবাসকারী 
প্রেমিকার আচরণ যদি শিশু সুলভ হয় 
তাহলে এ চর্চা অধিক ফলপ্রসূ হয়।

এক কবিতায় লিখেছিলাম -
'বিষন্নতা বিরোধী সমাবেশে 
তুমি আমি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম  
মনে আছে তোমার?
আগামীতে ও তুমি আমি ভূত হবো
ফুল, পাখি, রোদ ঝরে যাবে
ঠোঁটের ইশারায়! '

কবিতার বয়স বাড়ে না, 
কুয়াশা শুধু মরে যায়। 
প্রতিদিন আমিও মরে যাই। 
বিষন্নতায় ঘিরে আছে চারপাঁশ।
-ব্লগার টিপু মামা-










Thursday, February 6, 2014

Blogger TIPU MAMA: বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শো...

Blogger TIPU MAMA: বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শো...



: বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই? পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে ফুলের গন্ধে ঘুম আসে ...

Blogger TIPU MAMA: পথ কখনও শেষ হয় না...।

Blogger TIPU MAMA: পথ কখনও শেষ হয় না...।: পথ কখনও শেষ হয় না।  দীর্ঘ ভ্রমণের পর গন্তব্যে পৌছেও  কেউ স্থির থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে,  অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থ...

Tuesday, February 4, 2014

গান গাইয়া আমার মনরে বুঝাই...Top Comilla Mohanagori


গান গাইয়া আমার মনরে বুঝাই

মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চাইনা মনে গান ছাড়া

গানে বন্ধুরে ডাকি
গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাবো বলে আশা রাখি
না পাইলে যাবো মারা
আর কিছু চাইনা মনে গান ছাড়া

গান আমার জপমালা
গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা
অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চাইনা মনে গান ছাড়া

ভাবে করিম দীনহিন
আসবে কি আর শুভ দিন?
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন
ডুবলে কি ভাসে মড়া?
আর কিছু চাইনা মনে গান ছাড়া

-ব্লগার টিপু মামা-






Saturday, February 1, 2014

চাঁদনী রাত , গলে গলে পড়ছে জোস্না , চারদিক নীরব এমনকি ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ পর্যন্ত নেই ।

(পরী মণি)


চাঁদনী রাত , 
গলে গলে পড়ছে জোস্না , 
চারদিক নীরব এমনকি ঝিঁঝিঁ 
পোকার শব্দ পর্যন্ত নেই ।
বড় বড় কাঁশফুলের গাছ , 
সাদা সাদা কাঁশফুলের রাজত্ব চারপাশে , 
যতদুর চোঁখ যায় কেবল সাদা আর সাদা । 
শুদ্ধতার , পবিত্রতার সীমাহীন এক স্বর্গীয় অনুভুতি 
আবিরের মনে দোলা দিয়ে যাচ্ছে বারবার ।

জায়গাটা ওর কাছে খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে 
কিন্তু আগে কখনো এসেছে বলে মনে হচ্ছে না ।
কাঁশবাগানের ভিতর দিয়ে সরু একটা পথ 
চলে গেছে এঁকেবেঁকে সেই পথ ধরেই হেঁটে যাচ্ছে আবির , 
যদি অনন্তকাল ধরে এ পথে হাঁটা যেত , 
যদি এসময় পরী মণিও সাথে থাকতো কতইনা ভালো হত ! 
পরীমণির কথা মনে পড়তেই মামার মন খারাপ হয়ে গেল ।

মামা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে , 
পরীমণি ওর ক্লাসমেট । 
পরীমণির বাবা সরকারী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা , 
ঢাকা থেকে বদলি হয়ে তিনি এই মফস্বল শহরে এসেছেন । 
তাই পরীমণিকেও বাধ্য হয়েই এই স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছে । 
পরীমণি খুবই মেধাবী ছাত্রী 
ঢাকার এক নামকরা স্কুলেই ওর রোল ছিল এক ।
পরীমণি আসার আগে মামা ছিল ক্লাসের সেরা ছাত্র ,
কিন্তু যখন ১ম সাময়িকের রেজাল্ট বেরুল 
তখন সবার চোঁখ কপালে উঠে গেল ! 
কারন প্রতিটি সাবজেক্টেই পরীমণি ৯৫ এর উপর নাম্বার পেল ! 
আর অংকে পেল ১০০ তে ১০০ ! 
মামা ভাবতেই পারেনা অংকে কেউ ১০০ পায় কি করে ! 
ও কখনো ৬০ এর উপর পায়নি , আর এবার পেয়েছে ৫৮ ।

পরীমণি মেয়েটা দেখতেও ছিল পরীমণির মত , 
ক্লাসের সবার সাথেই ওর ভালো সম্পর্ক একমাত্র মামা ছাড়া । 
মামা কিছুতেই পরীমণিকে সহ্য করতে পারছিল না ।
কারন ওর মান সম্মান একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে মেয়েটা ! 
এতদিন ও ছিল সেরা ছাত্র স্যাররা সবাই ওকে আদর করতো , 
কিন্তু এখন ঐ মেয়েটা কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে !

মামা কথা না বললে কি হবে পরীমণি কিন্তু 
সেধেসেধেই মামার সাথে কথা বলতো , 
প্রথম প্রথম ও উত্তর দিত না কিন্তু 
পরীমণি এমন সুন্দর করে কথা বলে জবাব না দিয়ে থাকা যায় না ।
মামার মাঝে মাঝে ভাবে এত সুন্দর করে কথা বলে কিভাবে মেয়েটি ! 
ও আয়নার সামনে দাড়িয়ে কয়েকবার চেষ্টা করেছিল 
পরীমণির মত করে কথা বলতে 
কিন্তু নিজের কথা শুনে নিজেরই হাসি পেত !

মামা ধীরে ধীরে পরীমণির প্রতি দুর্বল হতে লাগলো , 
মামার ধারনা ছিল পরীমণিও মনে হয় তার মত করেই ভাবছে ।

২য় সাময়িক পরিক্ষার কিছুদিন আগে মামা জানতে পারলো 
পরীমণির বাবা আবার ঢাকায় বদলি হয়ে গেছে । 
কয়েক দিনের মধ্যেই ওরা চলে যাবে ।

মাা একসময় যে পরীমণির সাথে কথা বলতোনা 
এখন সেই পরীমণি চলে যাবে শুনে 
ওর নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ।

মামা : তুমি নাকি ঢাকায় চলে যাচ্ছ ?
পরীমি : হ্যা , বাবা বদলি হয়ে গেছেতো তাই ।
তুমি নিশ্চয় খুব খুশি , তোমার রোল আবার এক হবে ।

মামা চোঁখ দুটি টলমল করতে লাগলো , 
আবার একটা মেয়ের সামনে ও প্রায় কেঁদে দিচ্ছে 
এটা ভেবে লজ্জাও পাচ্ছে ।
শেষ পর্যন্ত লজ্জারই জয় হল ! 
ও কোন রকমে কাঁন্না আটকাল ।
তারপর পরীমণির হাতে একটা কাগজ দিয়ে দৌড়ে পালাল ।

ভালো ছাত্রী পরীমণি ,

তুমি অনেক সুন্দর , 
তোমার কথাগুলো আরও সুন্দর । 
এত সুন্দর করে কেউ কথা বলতে পারে আমি জানতাম না ।
তোমাকে আমার অনেক ভালো লাগে , 
তুমি যদি আমার চেয়ে খারাপ ছাত্রী হতে 
তাহলে তোমাকে আমি "I love you" কথাটা বলতাম । 
কিন্তু তুমি পড়ালেখায় আমার চেয়ে অনেক অনেক ভালো তাই 
"I love you" বলতে আমার লজ্জা লাগে । 
তাছাড়া তোমরা শহরে থাক আর অনেক সুন্দর করে কথা বল । 
কিন্তু তুমি খুব ভালো মেয়ে ।
ইতি
খারাপ ছাত্র মামা ।

দাড়াও ! দাড়াও ! আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি । 
আমি যে তোমাকে এই চিঠিটা দিয়েছি কাউকে বলনা , 
তাহলে সবাই আমাকে খারাপ মনে করবে । ।

আগামীকাল পরীণি চলে যাবে , 
মামার সাথে আজই ওর শেষ ক্লাস 
কিন্তু এই কয়দিনে চিঠির বিষয়ে 
মামার সাথে পরীমণি কোন কথাই বলেনি ।
ক্লাস শেষে পরীমণি সবার কাছ থেকে বিদায় নিল 
তারপর মামার সাথে কিছুক্ষন কথা বলল . .

পরীমণি: ভালো থেকো মামা , 
কাল আমরা চলে যাচ্ছি । 
এখন আমাদের পড়ালেখা করার সময় , 
আমার আব্বু আম্মু চায় আমি যেন ডাক্তার হই , 
তাই আমাকে ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে । 
আর তুমিও খুব ভালো ছেলে 
চেষ্টা করলে অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবে ।
তাহলে ঢাকায় গিয়ে ভালো কলেজে পড়তে পারবে 
তখন হয়ত আমার সাথে আবার দেখা হয়ে যেতে পারে ।
মামা মনে মনে ভাবছে কি সুন্দর করে 
কথা বলছে মেয়েটা , কত কিছু নিয়ে ভাবছে । । ।

মামা পরীমণির কথা ভাবছে আর সেই সরু পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে , 
পরীমণির সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা বারবার মনে পড়ছে ।
হঠাত্‍ করে কাঁশবনে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করলো ! 
হাজার হাজার জোঁনাকী কোথা থেকে এসে জুটেছে পুরো কাঁশবন জুড়ে ! 
হঠাত্‍ ও খেয়াল করলো আকাশ থেকে একটা 
আলোর ছটা ক্রমশ ওর দিকে এগিয়ে আসছে ! 
কাছে আসতেই ও চিত্‍কার দিয়ে বলে উঠলো পরীমণি তুমি ? ? 
পরীমণি কোন কথা বললনা , 
যখনি ও পরীমণিকে ছুতে চাইল ওমনি পরী আকাশে মিলিয়ে গেল ! ! 
আর সাথে সাথেই মামার ঘুম ভেংগে গেল ।

পরীমণি ঢাকা চলে গেছে প্রায় তিন মাস হল , 
তারপর থেকে মামার প্রায় প্রতি রাতেই এই স্বপ্নটা দেখে ।
কিন্তু আজ মামার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে । 
এভাবে স্বপ্ন দেখে আর না , 
"স্বপ্নের পরীমণিকে হয়ত ছোয়া যায় না 
কিন্তু বাস্তবের পরীমণিকে ছোয়া যায় , 
অন্তত চেষ্টাতো করা যায়"

আজ থেকে ও আরও ভালোভাবে পড়াশুনা করবে 
"নিজের জন্য , পরীমণিকে ছোয়ার জন্য"
-ব্লগার টিপু মামা-