Saturday, December 3, 2016

⻣ গণ্ডগোল......

গণ্ডগোল
************

কত নামে কত জনে ডাকে যে তোমায়
নামটা তোমার নাকি তুমি নামের বোঝা দায়
নামের ফেরে এ সংসারে কত গণ্ডগোল
নাম নিয়ে হয় বাড়াবাড়ি নামের হট্টগোল
কে তোমার এই নাম রেখেছে বলতো আমায়

এ নাম নেয়ার নিয়ম কানুন বড়ই চমৎকার
কেউ গোপনে এ নাম জপে কেউ করে চিৎকার
কেউ নেয় নাম গুণে গুণে হিসেব নিকেষ করে
কেউ নেয় নাম অহর্নিশি হাটে ও বাজারে
কেন এত নিয়ম কানুন বলতো আমায়
নামটা তোমার নাকি তুমি নামের বোঝা দায়

কেউ বা ক্ষোভে কেউ বা লোভে করে তোমার নাম
কেউ অভাবে কেউ স্বভাবে পুরায় মনস্কাম
কেউ বা সুরে কেউ বেসুরে তোমারই নাম করে
কেউ বা লেখে নামের প্রভাব কেউ বা সেটা পড়ে
গোলক ধাঁধায় পড়ে কত সময় কেটে যায়
নামটা তোমার নাকি তুমি নামের বোঝা দায় ।







Y)

Monday, November 21, 2016

➤ শেষ বেলাতে এলে সখা,, শুনিয়ে যেতে গান.....

শেষ বেলাতে এলে সখা,, 
শুনিয়ে যেতে গান.....

আমার বুকে জমা আছে,,
শতক অভিমান ৷৷
আসতে যদি কদিন আগে ....
বাঁধতাম আমি সুর,,
তোমায় নিয়ে চলে যেতাম ...
দূর থেকে দূর ৷৷
সেই দূরেতে চলে গিয়ে,,
বাঁধতাম আমি ঘর....
কোন দিনও পারতে নাকো,,
করতে আমায় পর ৷৷
(মিষ্টি)
ভাবতে আমার কষ্ট হচ্ছে,,
ফাটছে আমার বুক.....
যখনই চোখে ভেসে ওঠে ,,
তোমার মিষ্টি মুখ ৷৷
মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ,,
আজও হতাস হই.....
সখা ,আমি যেন তোমার শুধু
বন্ধু হয়ে রই ৷৷


Friday, November 11, 2016

Sunday, November 6, 2016

টলমলে জলের কোলে এমন ঘাটলা পিছনে টানে,

টলমলে জলের কোলে 
এমন ঘাটলা পিছনে টানে,
সুবর্ণ অতীত তার 
শ্যাওলা ভেঙে বলে, 
কী ! মনে আছে সেইসব দিন

স্বর্গময় ছিলো যা,আনন্দ ও গানে।

-----------




Friday, August 5, 2016

আমি ঢেউ বিহীন এক নদী রে ঢেউ বিহীন এক নদী,,,,,,,,,

আমি ঢেউ বিহীন এক নদী রে 
ঢেউ বিহীন এক নদী
প্রেম দরিয়া জলের ধারা 
দুই কুলে তোরে বাঁধি রে

ভ্রমর যেমন ফুলের মধু 
জমায় ক্লান্তিহীন
তুই আমারে রাখিস বেঁধে 
সীমান্ত অসীম

তুই বিনে কী আমি বাঁচি 
জল ছাড়া কী নদী
প্রেম দরিয়া জলের ধারা 
দুই কুলে তাই বাঁধি

আমি ঢেউ বিহীন এক নদী রে
 
ঢেউ বিহীন এক নদী
প্রেম দরিয়া জলের ধারা 
দুই কুলে তোরে বাঁধি





Friday, July 22, 2016

প্রেমিক কিংবা 
চাটুকার,
নয়তো হিটলার,
মনে রেখো -
শেষ হলে খেলা
নিঃসঙ্গ তুমি,
নিতান্তই একেলা।








Wednesday, July 20, 2016

স্বপ্নের দেশ আই লাভ বাংলাদেশ আমার গর্ভ ।

এমন রূপের মাঝে 
নিসঙ্গ বসে আছে কাক,
বেদনার গানটুকু 
আজ না হয় থাক।



Monday, June 27, 2016

ঢাউস সাইজের কোন দালান।

প্রকৃতির গণমৃত্যু.....
------------------
গণপরিবহনে ঘণমানুষের একজন হয়ে চলাচলের সুখই আলাদা। অামি অবশ্য এমন সুখের লোভে চলি না। চলি ,উপায় নাই বলে। তারপরও ধান্ধায় থাকি,ফাঁক খুঁজি, জানালার পাশে বসবার। জানালার পাশে সিট না পেয়ে,এক বাস ছেড়ে পরের বাসে উঠেছি। এটা আমার পুরোন ব্যামো। এই ব্যামোর মূল কারণ দেখা,দেখতে দেখতে আসা-যাওয়া। দিন গড়ানোর সাথে চেনা পথটারও চেহারা বদলায়। এই বদল কেবলই বেদনার, প্রকৃতির গণমৃত্যুর ছবি। তবুও আশায় থাকি,চেনারূপের ঘ্রাণ নেবার। জানালায় চোখের সাথে হাতে থাকে ছবি তোলার যন্ত্রটাও। এই চেনা ছবিটাকে মিস করিনি। জানি অন্যকোন দিন,অন্যবছর এখানেই হয়তো বুক চিতিয়ে,দাঁত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ঢাউস সাইজের কোন দালান।






Friday, June 24, 2016

এই নদী কথা কয়, নদী কাঁদে,

এই নদী কথা কয়,
নদী কাঁদে,
নদী কহে তার যৌবনের কথা,
চিৎকার করে নিয়তই কহিছে
বন্ধ্যা জীবনের সকরুণ গাঁথা।




Wednesday, June 22, 2016

এই মানুষটিরও স্বপ্ন ছিল, প্রজাপতি মন ছিল, ছিল পুষ্প-শুভ্র রূপ।

এই মানুষটিরও স্বপ্ন ছিল,
প্রজাপতি মন ছিল,
ছিল পুষ্প-শুভ্র রূপ।
হাঁটায় তাঁর ছন্দ ছিল,
বাজতো ঘুঙুর-নূপুর।
মেঘবরণ কেশ ছিল,
দুধ-আলতা রঙ ছিল,
হরিন কালো চোখ ছিল,
হয়তো একদিন
দিনও ছিল তাঁর ,
এমন দিন আসবে
তোমার আমার !!!





Monday, June 20, 2016

ঘুমুলেই যদি যম দূত হানা দেয় ঘরে।

গভীর রাত,জোসনার মত মায়াময় আলোয় ভরা ঐ যে গৃহকোন, কেউবা সেখানে নিংড়ে নিচ্ছে জীবনের সুখ-সুধা।
নীচে,আরও নীচের ধুপছায়া আলোর ঘরে হয়তোবা কেউ জীবনযন্ত্রনার কৃষ্ণপাথর বয়ে চলেছে অবিরাম। 
সাদারঙ বাতির আভা,সেখানে হয়তো কোন মা অপলক চেয়ে অাছেন অসুস্থ সন্তানের মাথাটি কোলে রেখে,ঘুম নেই,ঘুমুলেই যদি যমদূত হানা দেয় ঘরে। 
লালচে আলো জ্বলছে যেখানে,সেটি হয়তোবা কোন খোলাজানালা,যার গ্রিল ধরে ছোট ভাইটির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে বোন। ভাইটি তার সন্ধ্যা গড়ানোর পর বাইরে থাকেনি কোনদিন। 
বারান্দায় জ্বলছে যে আলোটি সে বারান্দার রেলিং ধরে গলির মোড়ের দিকে অপলক চেয়ে আছে কোন এক গৃহবধু,স্বামী যার এখনও ফেরেনি ঘরে।
নীল আলোটির নিচে হয়তোবা কোন পিতা উদাস,নিদ্রাহীন,রাত পেরুলেই যাকে রেখে আসা হবে কোন এক বৃদ্ধাশ্রমে।
ঐ যে,বাম দিকে,আরও বামে ,হ্যাঁ ঠিক ঐখানে হয়তো কোন..................।
-------------------
গতরাতে তোলা ঢাকার রাত।



Saturday, June 18, 2016

কে কি ভাবলো তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না....

কে কি ভাবলো তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না....
--------------
ছবিটি গত সূর্যাস্তের ঠিক ১৫ মিনিট আগে আমার বাড়ি থেকে ১০ মিনিট দূরের অবস্থান থেকে তোলা। এমন অজস্র রূপময় প্রকৃতি প্রতিক্ষণ ছড়িয়ে থাকে আমাদের চারপাশে। একটু নজর দিলেই তুলে রাখা যায়। নিজের আনন্দের জন্য,অন্যকে আনন্দ দেবার জন্য। এর বাইরেও অসীম মূল্য আছে আপনার তোলা প্রতিটি ছবির।আমাদের এইসময়ের প্রকৃতি,তার রূপ একযুগ পরে এমন থাকবে না,বদলে যাবে। যেমন নেই একযুগ আগের রূপের সাথে,বদলে গেছে। আপনার শৈশব,কৈশর যৌবনের চেনা,আপন জগৎটাকে নিজের কাছেই রাখুন। কে জানে আজ থেকে শতবছর কিংবা একযুগ পরে আপনার তোলা শখের একটি ছবিই হয়ে যেতে পারে আলোচিত কোন ডকুমেন্ট।
বলবেন ছবি তোলার জন্য বাড়তি সময় কই? বাড়তি সময়,বাড়তি খরচের কোনও বালাই নেই। গত দু বছরে আমি যতগুলো ছবি ফেসবুকে দিয়েছি তার ৯০ ভাগ ছবিই আমার বাসা আর কর্মস্থলের দুইবর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্য থেকে তুলেছি। এই স্পেসের মধ্যেই আমি কাজে যাই,বাজারে যাই,বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে, আড্ডা দিতে, নিমন্ত্রন রক্ষা করতে যাই। এই যাওয়া আসার পথে এবং নিত্যদিনের হাঁটাহাটির ফাঁকেই এক-দু মিনিট দাঁড়িয়ে ছবি তুলে রাখি।কখনও চলন্ত রিক্সায় বসে,কখনও রিক্সা থামিয়ে দশ পনেরো সেকেণ্ডে তুলি ফেলি । স্পষ্ট করে বলে রাখি শুধু ছবি তোলার লক্ষ্য নিয়ে একটি দিন,একটি ঘন্টাও বাড়তি ব্যয় করিনি।
প্রশ্ন করবেন তুলবেন কি দিয়ে ! সেটাও কোন সমস্যা না। আপনার হাতে যে সেল ফোনটি আছে,সেটি দিয়েই তুলুন। আমি ছবি তুলি আমার হাতে থাকা সেলফোনের ক্যামেরা দিয়ে। বলবেন ওতো দামি ফোন, না ৪বছর আগে কেনা সাধারণ মানের SAMSUNG GT-S7562 মডেলের ফোন দিয়ে।
ছবি তুলুন,প্রিয় মাতৃভূমির অসীম রূপকে চারপাশে ছড়িয়ে দিন,প্রকৃতির ছবি দেশকে ভালবাসতে শেখায়,ভালবাসা জন্মায় জন্মভূমির প্রতি ইঞ্চির জন্য। শুরু করুন,আজই আমার মত শখ করে “{https://www.facebook.com/ILovesbt/?ref=bookmarks}”। কে কি বললো তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।


Friday, June 17, 2016

আপেলের শেষ চিঠি 
.......................................
 আপেল,
ডাক নাম আপেল।
গায়ের রঙ দুধে আলতা ,
চোখা নাক,কোঁকড়ানো কালো চুল,
উচ্চতা,পাঁচ ফুট চার কিংবা পাঁচ ,
পেটা শরীর,আমাকেও পিটিয়েছে,রাগ করে ।

আপেল শেষ চিঠি লিখেছিলি নবদ্বীপ,
পশ্চিমবঙ্গ থেকে, 
বত্রিশ বছর আগে।
অনেকটা পেঁচানো লেখা,
ডানদিকে ঈষৎ কাত করে লিখতি, 
আমার চেয়ে অংকে ভাল ছিলি,আমি ছিলাম বাংলায়।

অমি এখনও অংকে কাঁচারে আপেল,
তবে পেকেছে দাঁড়ি-গোঁফ।
জানিস,টাকের হাতে পরাভূত 
আমার চুলগুলো এখনও কালো ,
তুই কালোচুলের পাগল ছিলি,
মনে আছে তার কথা...।

তোদের বাড়িটার সামনে দিয়ে এখনও রোজ যাই,
আগে যেতাম তোর টানে,
এখন যাই পেটের দায়ে।
চোখটা তবুও পড়ে তোদের টিনের ঘরে,
কারা যেন থাকে,অন্যরকম,
তোদের বেঁচে দেয়া বাড়ি, 
উঠোনের রঙ,
গন্ধটাও বেদলেছে অঙিনার।

আপেল, 
কেমন অছিস রে ? 
সেই কবেকার কথা,ভোর বেলা ,
হাত ধরে বললি ‘দোস্ত যাইরে’
আর কোন কথা ছিলনা আমাদের !
সাদা হাফপ্যান্ট,
আকাশী শার্টে শেষ দেখা আপেলকে
আবার দেখতে ইচ্ছে করে।
.......
[ আপেল আমার শৈশব-কৈশরের বন্ধু,নবদ্বীপ থাকে,এখনও শুধু ওটুকুই জানি]


Sunday, June 12, 2016

চারিদিকের পোড়ামাটির গন্ধ,বিষময় সাদা ধোঁয়ায় চোখের নয়,মনের কষ্টটা বাড়ে।

যতবার বাড়ি থেকে ঢাকা যাই,আসি,ততবার কুমিল্লা আলেখার চর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আর গুনতে চেষ্টা করি ইট ভাটার সংখ্যা। কোন দিন তিরিশ, কোনদিন চল্লিশ পর্যন্ত গুণেই রণেভঙ্গ দেই । 
চারিদিকের পোড়ামাটির গন্ধ,বিষময় সাদা ধোঁয়ায় চোখের নয়,মনের কষ্টটা বাড়ে। মনে পড়ে,এই দিগন্ত বিস্তৃত এই ইট ভাটাময় জমি গুলোতে এক সময় গাঢ় সবুজের প্লাবন,সুবর্ণ ফসলের ঢেউ দেখেছি বাসের জানালায় বসেই।






Saturday, June 11, 2016

আমার তোলা সবচেয়ে প্রিয় কয়েকটি ছবির একটি হচ্ছে এই কাকতাড়ুয়ার ছবিটি।

আমার তোলা সবচেয়ে প্রিয় কয়েকটি ছবির একটি হচ্ছে এই কাকতাড়ুয়ার ছবিটি। খুব যত্ন করে রাখি ছবিটাকে। ব্যবহারও করি মাঝে মাঝে। 
আমাদের রাষ্ট্র,সমাজ,রাজনীতি এবং ব্যক্তি জীবনের অনেক সময়,অনেক কিছুর, অনেক ঘটনার সিম্বল হয়ে উঠে এই কাকতাড়ুয়া  ।



Thursday, June 9, 2016

তাল বিষয়ক একখানা বায়োমেট্রিক অভিসন্দর্ভ..

তাল বিষয়ক একখানা বায়োমেট্রিক অভিসন্দর্ভ..
-------------------
গাছের ‘তাল’ আর নৃত্য-গীতের ‘তাল’র বানান এক,তবে চীজ কিন্তু আলাদা। একটারে হাতে ধরা যায়,মাথায় নেয়া যায়,চাইলে আছাড়ও মারা যায় কিন্তু অন্যটারে হাত কিংবা পা কোন কিছু দিয়ে বাঁধা যায় না,ছোঁয়াও যায় না। কেবল ইন্দ্রিয় নামক অদৃশ্য এক যন্ত্র দিয়ে ধরা যায়,বোঝা যায়,অনুভব করা যায়।
তালের আবার যন্ত্রও আছে,যাকে বলে ‘তালযন্ত্র’। 
তাল কিন্তু ঋতু প্রেমি,ভাদ্রের সাথে তার গভীর প্রেম। 
তাল নিয়ে ঢংও কম নয় । জীবনে যে তাল দেখে নাই,খায় নাই,সেও খুববেশী গরম পড়লে,হাঁসফাঁস করে আর বলে,‘তালপাঁকা গরমে জীবন যায় যায়’।
তাল কিন্তু শৃংখলা মানে,যেমন প্যারেড। সবাই কেমন তাল মিলিয়ে তালে তালে হাঁটে,খুব সুন্দর লাগে,তালে হাঁটা।
চাটুকারেরাও কিন্তু তাল থেকে দূরে না। নেতা বক্তৃমা শুরু করলে,ভাল মন্দ যাই বলুক এরা তুুমুল তালে তালিয়া বাজায়।
তলে তলে খোঁজ নিয়ে দেখেন গিয়া,জামাই আদরে তালের শাঁষ,তেলে ডুবানো তালের পিঠার বাজার কিন্তু মন্দা না। 
সময়ের সাথে,সংসারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে কিন্তু খবর আছে,সবাই ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে টপকে যাবে।
তাল কিন্তু দানবীরও বটে, ত্রি-তাল,বুহিতাল,হরতাল,চাতাল,পাতালের মত অসংখ্য শব্দ সাপ্লাই দিয়ে সে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে ঋদ্ধ করেছে। 
বাংলার কবিকুল কিন্তু তাল বিমুখ ছিলেন না,তাহারা তাল লইয়াও কাব্য রচনা করিয়াছেন,যেমন..
“তাল কাটোরে তাইল্যা ভাই
তালের ডগা দিয়া,
হাত্তি নাচে,ঘোড়া নাচে,
তাল খাইয়া খাইয়া।”
সবশেষে বলি
তালের মধ্যে কিন্তু কঠিন বেতালও আছে,একটু-আধটু সোমরস,সুরার সুগন্ধি নাকে গেলে অনেকেই দিব্যি বে-তাল হয়ে পাতালে গড়াগড়ি খান।__ব্লগার টিপু মামা__









Wednesday, May 18, 2016

নয়ন ভরিয়া দেখি তারে,বারে বারে...

বেঁচে থাকা মানুষের নাম 
উঠে যাক গিনিসের পাতায়,
‘মৃত মানুষেরাই নিরাপদ’
এই কথা লেখা হোক 
নিয়তির খাতায়, আর 
প্রতিটি অপঘাত মৃত্যু
সত্যায়িত হোক‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’য়।






Saturday, May 14, 2016

ব্লগার টিপু মামার জীবন্ত ময়নার গোসল না দেখলে মিস করবেন ।।

ব্লগার টিপু মামার জীবন্ত ময়নার গোসল না দেখলে মিস করবেন ।।
I do not miss my uncle's living blogger Tipu  Maina bath ..



ঘাতক বজ্র বৃষ্টির সময় খুব বেশী বিপদে না পড়লে ঘরের বাইরে যাবেন না।

ঘাতক বজ্র বৃষ্টির সময় খুব বেশী বিপদে না পড়লে ঘরের বাইরে যাবেন না। 
আর ঘরের বাইরে থাকলে যত দ্রুত পারেন ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিন। 
আপাতত এ দুটো বিষয় মেনে চলুন।





একটা লিং দিলাম https://www.facebook.com/ILovesbt/?ref=bookmarks দেখতে পারেন ।







Monday, May 9, 2016

পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে.......



পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে.......
খুব গরম পড়লে আমরা ভাইয়েরা মিলে আমাদের ছোট্ট মফস্বল শহরের বাড়ির বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে হ্যারিকেন কিংবা কুপি জ্বেলে পড়তে বসতাম,ঝিঁঝি ডাকতো,শিয়ালের চিৎকারে নিঝুঁম সন্ধ্যা তার নিস্তব্ধতা ভাঙতো বারবার। মাঝে মাঝেই ঝাঁকে ঝাঁকে পিলপিল করে উড়ে আসতো পিপীলিকার দল। উপায় কী ! মহানন্দে পড়া গুটিয়ে কুপি-হ্যারিকেন বারান্দা থেকে নামিয়ে রেখে আসতাম খোলা উঠানে। দেখতাম কেমন করে ওরা আলো-আগুনের পানে ধায়। তখনও উত্তর মেলেনি এখনও না। কেন ওরা আত্মবিসর্জন দেয় ঝাঁক বেঁধে,কেন একা একা নিরবে নয়। কী প্রাপ্তি তাতে !
সেই মফস্বল শহর অাজ জেলা শহর,শেয়ালের ডাক নেই,গাড়ি ডাকে। ঝিঁঝিঁ নেই গাড়ির হর্ণ সন্ধ্যার স্তব্ধতা ভাঙে। মাঝে কত সময় গড়িয়েছে,আমরা পেড়িয়েছি মধ্য বয়স,তবুও আজ রাতে,এই একটু আগে আমার খাবার ঘরের বাইরের জানালা ঘিরে শৈশবের সেই ছবি। পিপীলিকার আত্মাহুতি,বিদ্যুতের বাতির দিকে চুটে চলা। অপ্রাসঙ্গিক তবুও কেন জানি মনে পরে গেল মুকুন্দরামের চরণ দুটি...
“পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে /
কাহার ষোড়শী কন্যা আনিয়াছ ঘরে?”
_ব্লগার_টিপু_মামা



Sunday, April 24, 2016

জোসনা মাড়িয়ে যাবে...

জোসনা মাড়িয়ে যাবে...
----------------------

জানালায়,বাঁদুরের মত
কেবলই ঝুলে থাকে
নিথর দিগন্ত,শঙ্কাময় হাট,
স্তব্ধ সাগর,শুন্য শ্মশানঘাট।

সুনামী সংকেত
দূর থেকে কাছে আসে
কেঁপে ওঠে ফসলের মাঠ ।
জোসনা মাড়িয়ে ছুটে যাবে

রহস্যের কালো বুট
দানব পাগলা ঘোড়া,
শিকারী শকুন ছিঁড়ে খুঁটে খাবে
স্বপ্ন সকল,যা কিছু ছিল
অগ্নি-শপথে মোড়া।

.........................
ব্লগার_টিপু_মামা




Wednesday, April 20, 2016

সফলতার রহস্য---- ব্লগার_টিপু_মামা

সফলতার রহস্য

লোকজন সব সময় আমাকে জিজ্ঞাসা করে সফলতার রহস্য কী?

প্রথম নিয়ম হচ্ছে, “নিজের উপর আস্থা রাখ”। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তোমাকে আরও গভীরে ঢুকতে হবে এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে তুমি “কে” হতে চাও? “কী” না কিন্তু “কে”? তোমার বাবা মা বা শিক্ষকরা কী চেয়েছেন তা বলছি না, তুমি নিজে “কে” হতে চাও এটার কথা বলছি। আমি বলছি, তুমি খুঁজে বের কর কী তোমাকে সুখী করে সেটা অন্যদের কাছে যতটাই পাগলামি মনে হোক না কেন। তাই প্রথম নিয়ম অবশ্যই নিজের উপর আস্থা রাখা, কে কিভাবে চিন্তা করল ওটা দেখার বিষয় না।
দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে, “নিয়ম ভেঙ্গে ফেল ”। এই জীবনে আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের অনেক নিয়ম আছে। আমি বলছি নিয়ম ভাঙো কিন্তু আইন না। একজন ভবঘুরে বা সত্যিকারের মানুষ হওয়া অসম্ভব যদি না তুমি খুব ভাল স্বভাবের হও এবং নিয়ম ভাঙ্গতে না চাও। তোমাকে বাক্সের বাহিরের কথাও চিন্তা করতে হবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। সর্বোপরি এই পৃথিবীর সবকিছু অন্যের পছন্দ মত হবে এবং সব সমস্যার উর্ধে হবে এমনটা চিন্তা করা ঠিক না। কিন্তু নিয়ম ভাঙ্গাই হচ্ছে আমার একমাত্র পথ যার কারণে আমি কোথাও স্থান পেয়েছি।
তৃতীয় নিয়ম হচ্ছে, “পরাজিত হতে ভয় পেওনা”। আমি এখন পর্যন্ত যা’ই করেছি আমি সব সময় চাইতাম আমি যেন পরাজিত হই। তুমি সব সময় জয়ী হতে পারবে না কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পেও না। তুমি পরাজয়ের ভয়ে অক্ষম হয়ে যেও না। তুমি নিজের মধ্যে তাড়া অনুভব করবে কারণ তুমি নিজেকে বিশ্বাস করো, তোমার দর্শনকে বিশ্বাস করো এবং তুমি জানো এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত আর এভাবেই সফলতা আসবেই। কাজেই পরাজিত হতে ভয় পেও না।
চতুর্থ নিয়ম হচ্ছে, “নেতিবাচক মানুষদের কথায় কান না দেয়া”। তুমি কতবার শুনেছ যে, তুমি এটা পারবে না, তুমি ওটা পারবে না, এটা এর আগে কেউ কোনদিন করেনি? আমি এটা ভালবাসি যখন যখন কেউ বলে যে, এই কাজটা এর আগে কেউ করতে পারেনি কারণ, যখন আমি এটা করি এবং এটার মানে হচ্ছে, আমিই প্রথম যে এটা করেছে। কাজেই ঐসব লোকের কথায় কান দিবে না যারা বলে, এই কাজ কখনো হবে না। আমি সবসময়ই আমার নিজের কথা শুনি আমি বলি, “হ্যাঁ, তুমি পারবে “।
পঞ্চম নিয়ম হচ্ছে, “অক্লান্ত পরিশ্রম করা”, এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। আমি প্রত্যেক সম্ভাব্য পথে কাজ করার পক্ষপাতি। মোহাম্মাদ আলি, আমার মহান বীরদের মধ্যে একজন, যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল “আপনি কতগুলো সিট-আপ দেন?” তখন তিনি বলেছেন, “আমি আমার সিট-আপ গণনা করি না। আমি তখনই এটা গণনা করি যখন আমি ব্যথা পেতে শুরু করি। যখন আমি ব্যথা অনুভব করি তখন আমি গণনা শুরু করি কারণ তখনই সত্যিকারের গণনা করার সময়, এবং এটাই তোমাকে চ্যাম্পিয়ন করে দিবে।” কথায় আছে “কষ্ট ছাড়া মিষ্ট লাভ হয় না”। তুমি বলতে পারো জীবনে হাসি-ঠাট্টারও দরকার আছে। কিন্তু তুমি যখন পার্টিতে আনন্দ ফুর্তি করবে তখন একই সময়ে অন্য কেউ কঠোর পরিশ্রম করবে, অন্য কেউ আরও সুদর্শন হবে এবং অন্য কেউ জয়ী হবে। কাজেই কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন বিকল্প পথ নাই।
ষষ্ঠ নিয়ম হচ্ছে, “কিছু ফিরিয়ে দেয়া”। তুমি যা কিছুই অর্জন করো না কেন, তোমাকে কিছু ফিরিয়ে দিতে হবে, তোমার কমিউনিটি জন্য, তোমার এলাকার জন্য, তোমার দেশের জন্য। তুমি যা কিছু করো না কেন, মানুষকে সাহায্য করে যে পরিমাণ আনন্দ পাবে, অন্য কোন কিছুতে এত আনন্দ পাবে না।
* এই ছয় নিয়ম মনে রেখো। ------ব্লগার_টিপু_মামা ।

আমার হালট

আমার হালট
---------------
আমার জন্ম হয়েছে গ্রামের বাড়িতে। তবে হামাগুড়িকাল থেকে বড় হয়েছি শহরের কেন্দ্র স্থলের সবচেয়ে সুন্দরতম একটি আবাসিক এলাকায়।আজও সেখানেই আছি। কিন্তু আমার জন্মস্থান,আমার আঁতুর ঘর যে গ্রামে সে গ্রামের প্রতি ইঞ্চি ভূমির সাখে আমার যে সখ্য,যে নাড়ীর বাঁধন তা আজও স্মৃতির হাঁটে জীবন্ত। 
আমার গ্রামটি অন্য দশটি গ্রামের মতই বদলে গেছে। হিরন্ময় স্মৃতির সে সব আঙিনা বিবর্ণ হয়ে এলেও সম্পূর্ণভাবে হারিযে যায়নি । ছবির এই পথের মত গলি পথকে আমরা বলতাম হালট । শতরকমের গাছ-গাছালি,বিশেষ করে,বাঁশঝাড় গাব আর হিজল গাছে ছাওয়া সুরঙ্গের মত ছিল প্রিয হালটেরা । বাড়িতে গেলেই ডাংগুলি,মার্বেল থেলা, দারিয়াবান্ধা, চাড়া খেলায় মুখর হয়ে থাকতাম এই সব শ্যামল পথে,হালটে। কত প্রিয়জন,প্রিয়মুখ ছিল সে সব খেলার সাথী। তাদের অনেকের নাম আজ আর মনে আসে না, কোথায় আছে তারা ,কেমন আছে,বেঁচে আছে কিনা,জানি না। আমার সেই সব হালটেরা ক্রমশঃ মরে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে। এই প্রজন্ম,এমনকি আমার মেয়েটাই হালট বলে কিছু চেনে না,জানে না তার রূপসাগরের রঙ।
আমার শৈশব,কৈশরের স্মৃতিমাখা হালট । অসংখ্য হালটের মধ্যে কেবল এই একটি আজও ম্লানমুখে,রূপহীন বেঁচে আছে। ছবিটি তিনমাস আগে তোলা।




ব্লগার_টিপু_মামা



Friday, April 1, 2016

ব্লগার_টিপু_মামারে "শুধু লাথি মেরেছে, বোমা মারেনি "!!

গত শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময়ের ঘটনা । বড় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফিরলাম। লাথিটা বেশ জোরেশোরেই খেয়েছিলাম। খুতবার আগে চার রাকাত সুন্নত পড়ছিল অনেকেই। আমি চোখ বন্ধ করে জিকির করছিলাম, ডান কাঁধে তার পায়ের ধাক্কায় সামনের দিকে প্রায় উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি একবারও ফিরে তাকালেন না, সামনের কাতারে চলে গেলেন। মধ্যবয়সী প্যান্ট শার্ট পড়া একজন ভদ্রলোক।
সব বাবাদের প্রতি অনুরোধ। কি করে আদব কায়দার সাথে একজনকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যেতে হয়, তা আগে নিজে শিখুন। তারপর আপনার সন্তানদের শেখান।
-বাবা তুমি বড় ভাগ্যবান
-কেন মা?
-শুধু লাথি মেরেছে, বোমা মারেনি!!



Wednesday, February 17, 2016

ফুরিয়ে এসেছে বেলা, মিটেছে সকল খেলা,

ফুরিয়ে এসেছে বেলা,
মিটেছে সকল খেলা,
রুদ্ধ আজি জীবনের পরাবার,
এখন সময় শুধু হারাবার।

_ব্লগার_টিপু_মামা