Monday, May 9, 2016

পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে.......



পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে.......
খুব গরম পড়লে আমরা ভাইয়েরা মিলে আমাদের ছোট্ট মফস্বল শহরের বাড়ির বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে হ্যারিকেন কিংবা কুপি জ্বেলে পড়তে বসতাম,ঝিঁঝি ডাকতো,শিয়ালের চিৎকারে নিঝুঁম সন্ধ্যা তার নিস্তব্ধতা ভাঙতো বারবার। মাঝে মাঝেই ঝাঁকে ঝাঁকে পিলপিল করে উড়ে আসতো পিপীলিকার দল। উপায় কী ! মহানন্দে পড়া গুটিয়ে কুপি-হ্যারিকেন বারান্দা থেকে নামিয়ে রেখে আসতাম খোলা উঠানে। দেখতাম কেমন করে ওরা আলো-আগুনের পানে ধায়। তখনও উত্তর মেলেনি এখনও না। কেন ওরা আত্মবিসর্জন দেয় ঝাঁক বেঁধে,কেন একা একা নিরবে নয়। কী প্রাপ্তি তাতে !
সেই মফস্বল শহর অাজ জেলা শহর,শেয়ালের ডাক নেই,গাড়ি ডাকে। ঝিঁঝিঁ নেই গাড়ির হর্ণ সন্ধ্যার স্তব্ধতা ভাঙে। মাঝে কত সময় গড়িয়েছে,আমরা পেড়িয়েছি মধ্য বয়স,তবুও আজ রাতে,এই একটু আগে আমার খাবার ঘরের বাইরের জানালা ঘিরে শৈশবের সেই ছবি। পিপীলিকার আত্মাহুতি,বিদ্যুতের বাতির দিকে চুটে চলা। অপ্রাসঙ্গিক তবুও কেন জানি মনে পরে গেল মুকুন্দরামের চরণ দুটি...
“পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে /
কাহার ষোড়শী কন্যা আনিয়াছ ঘরে?”
_ব্লগার_টিপু_মামা



No comments:

Post a Comment