
তবু আজো মাঁথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সত্যের সন্ধ্যানে।পৃথিবীতে মানুষের আয়ু গড়ে ৬০ বছর আর দিন হিসাব করলে ২১,৯০০দিন । যা কিনা এই পৃথিবীতে বাঁচার জন্য অতি অল্প সময় । আসুন না প্রতিদিন অন্তত একটি ভাল কথা ও যদি লেখা যায় তবেই মানুষ তার লক্ষাধিক ভাল কথা লিখতে পারে । যা দেশ ও জাতীর জন্য হতে পারে অনেক অনেক মুল্যবান। এই দেশটাতো আমার আপনার সকলেরই আই লাভ বাংলাদেশ ।। -ব্লগার " টিপু " মামা
Friday, January 31, 2014
Tuesday, January 28, 2014
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।
ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে’
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
(কাজলা দিদিঃ যতীন্দ্র মোহন বাগচী)
-ব্লগার টিপু মামা-
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।
ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে’
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
(কাজলা দিদিঃ যতীন্দ্র মোহন বাগচী)
-ব্লগার টিপু মামা-
Monday, January 27, 2014
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে..
পাড়া-পড়শি বাদী আমার, বাদী কালনী নদী
মরম-জ্বালা সইতে না'রি, দিবা-নিশি কান্দি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি।
কারে কি বলিব আমি নিজেই অপরাধী
কেঁদে-কেঁদে চোখের জলে বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি। —
সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার
দেহ-মন-প্রাণ
সর্বস্ব ধন করিলাম দান
তোমার চরণের তরে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে...
-ব্লগার টিপু মামা-
Wednesday, January 22, 2014
.একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা.......(সেই তুমি কেনো এত অচেনা হলে?)
মানুষের জীবনে প্রেম অনেকবার আসে...
কিন্তু সফল একমাত্র সেই হয় যে তার
ভালবাসাকে আগলে রাখতে পারে...
ভালবাসাকে আগলে রাখতে পারে...
সবাই ভালবাসার মুল্য বুঝেনা আর সবাই
ভালবাসতে পারেনা বইকি জানেনা...
ভালবাসতে পারেনা বইকি জানেনা...
ভালবাসা ১টা ফোন কলের মাধ্যমে হয়না।
ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটির প্রতি এক
ধরনের দুর্বলতা জন্ম নেয়।
ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটির প্রতি এক
ধরনের দুর্বলতা জন্ম নেয়।
অদ্ভুদ একটা টান থাকে
সেই মানুষটির প্রতি।
সামান্য একটু অবহেলা অনেক কষ্ঠের উতপত্তি ঘটায়।
আরো বেশি হতাশা জন্মায় যখন
আরো বেশি হতাশা জন্মায় যখন
সেই মানুষটির সাথে সারাদিনে একটা কথা ও হয় না
.
.একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা.......(সেই
তুমি কেনো এত অচেনা হলে?)
.
.একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা.......(সেই
তুমি কেনো এত অচেনা হলে?)
ব্লগার টিপু মামা-
রোমান্টিক গল্প
" ভালবাসি ভালবাসি "
-ব্লগার টিপু মামা-
জ্যাকসন হাইটস যাবো, ভাবছি গাড়ি নেবো না ট্রেনে যাবো ? ট্রেনেই যাই আজ, ট্রেন যাওয়া হয় না অনেকদিন|সিদ্ধান্ত নিয়ে টিকেট কাটলাম |
ট্রেন উটে যতারিতি বাঙালি চেহারা দেখতে পেলাম না| সব সাদারা , কিছু কিছু কালো ও আছে তবে কম |
সামনের একটা স্টেশন কিচুক্কন থেমে ট্রেন আবার চলতে শুরু করলো| ত্রিশ ডিগ্রী এঙ্গেলে সামনের সিটে একটা বাঙালি চেহারার এক মেয়ে বসে আছে দেখতে পেলাম, মনে Holo এই মাত্র থেমে যাওয়া স্টেশন থেকে উটেছে |বাঙালি না হয়ে ভারতী হতে পারে | আমি আর সামনের দিকে না থাকিয়ে চোখ বুজে হালকা ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম |
কিছুক্ষণ পর পাশের সিটে বসে পড়ল কেউ এমনটা অনুভব করলাম| চোখ খুলে পাশে থাকাতেই দেখতে পেলাম সেই মেয়েটি |
আমি কিছু বোঝে উটার আগেই মেয়েটি বললো : আপনার নাম জুয়েদ তাইনা ?
:জ্বি , আপনি?
: তিশা
: আপনাকে তো চিন্তেপারলাম না| অবাক হয়ে বললাম|
: আপনি আমাকে চিনবেন না , আমি আপনাকে চিনি , আপনার ফেইসবুকে ছিলাম অনেক দিন|
: ছিলেন , এখন নেই ?
: না
আমি বললাম , ও আচ্ছা , নেই কেন কোন সমস্যা ?
:জ্বি. অনেক সমস্যা , আপনাকে চ্যাটে অনেক দিন হাই , হ্যালো বলে ও কোন উত্তর পাইনি , তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে আনফ্রেন্ড করতে হয়েছে |
আমি বললাম , আসলে আমি চ্যাট করিনা করতে পারিনা ,২/৩মিনিটের বেশি থাকতে পারিনা আবার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে থাকা এটাও করতে পারিনা , আমার এফবি ফ্রেন্ড সবাই প্রায় এটা জানেন , আমার সব কথা হয় স্টেটাস আর কমেন্টে |
: আপনার স্টেটাস গুলা হয় বিরহমূলক
: যেমন?
: এই যে কয়েকদিন আগে লিখলেন
"তোমর বাড়ির পাশের বাড়ি আমার
আমার পাশের বাড়ি তোমার
তবুও হয়না দেখা
আজন্ম আমরা থাকি একলা একা"
: এ স্টেটাস এর সাথে আপনার কি সম্পর্ক ? বললাম আমি|
একটু চুপ থেকে মেয়েটি বলল: আমার জীবনের সাথে এটা মিলে গেছে |
আমি অবাক হয়ে বললাম: কেমন করে? খোলে বলুন তো ?
এক পলক চোখের দিকে তাকিয়ে , চুপ করে রইলো তিশা| আনমনে কথা বলছে এমন ভাবে বলল : আমার পাশের বাসায় একটা ছেলে থাকে,ওর নাম সজল, আমি ওকে খুব পছন্দ করি কিন্তু আমাদের কাজের সিডিউল এর কারণে দেখা হয়না, আমি যখন কাজে যাই ও থাকে ঘুমে, আমি যখন কাজ থেকে ফিরি তখন ও থাকে কাজে| আমি বললাম: সজল কে কি আপনি ভালবাসেন ?
: জ্বি
:বলেছেন থাকে?
: হাঁ,
: সে কি বলল?
: সে আমায় ভালোবসেনা| তিশার চেহারাতে বেদনা দেখতে পেলাম|আমি বললাম সত্যিই কি সে আপনাকে ভালবাসেনা? এটা কনফর্ম হয়েছেন?
: হাঁ , থাকে ভালোবাসি বলার পর সে সুজাসুজি না করে দেয় | আজ এক বছর প্রায় এরপর থেকে তার সাথে দেখা হয়না, আর আমি ও লজ্জায় তার সাথে দেখা করিনা ইচ্ছে করে|
আমি কি বলব বোঝতে পারছিলাম না| একটু চুপ থেকে তিশা কে বললাম: একটা কাজ করতে পারবেন?
তিশা বলল : কি কাজ বলুন|
: আপনি একদিন সময় বের করে সজলের সাথে দেখা করবেন, এবং বলবেন যে, আপনি থাকে ভালবাসেন না| এটা তার সাথে মজা করেছেন|
: এতে কি উপকার হবে আমার?
: আর কিছু না হউক, নিজের কাছে যে লজ্জায় মরছেন সেটা থেকে তো বাঁচবেন| বলে আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম |
সামনেই জামাইকা স্টেশন | তিশাকে বললাম : আমি সামনের স্টেশনে নেমে পড়ব , আমাকে আবার জ্যাকসন হাইটসের "ই "ট্রেন ধরতে হবে |
তিশা বলল: আচ্ছা তাহলে দেখা হবে| আমি বিদায় নিয়ে চলে এলাম |
মাস তিনেক পর আমি আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে জ্যাকসন হাইটস প্রাইম রেস্টরেরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছি| কে এক জন ডাক দিল : জুয়েদ ভাই এই টেবিলে আসেন| আমি চেয়ে দেখি তিশা হাত নেড়ে আমায় ডাকছে | সাথে একটা ছেলে বসা| আমার দুই টেবিল পরে ওরা বসেছিল| গেলাম |
বললাম: কি তিশা কেমন আছ?
তিশা বলল: ভালো আছি| ওর নাম সজল , বলে পাশে বসা ছেলেটাকে দেখালো| আমি সজলের সাথে হাত মিলালাম| সজল আমায় বসতে বলল, আমি তাদের সামনা সামনি চিয়ারটায় বসলাম| তিশা বলল: জুয়েদ ভাই আপনার পরামর্শে কাজ হয়েছে|
: যেমন ?
: আমি যখন সজল কে বলি ফান করেছিলাম সত্যি ভালবাসিনা, সে তখন কিছু বলেনি মুখ কালো করে চলে গেছিল| অমা পরদিন দেখি ওর আম্মুকে নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির| সরাসরি আমার আম্মুর কাছে ওর আম্মু আমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেন| আমাদের পরিবারের সবাই রাজি হয়ে যান| এখন আমরা দেশে গিয়ে বিয়ে করব| তাই কিছু বাজার করতে জ্যাকসন হাইটস এসেছি|
অনেক লম্বা কথা বলে তিশা হাসছিল| তার চোখে মুখে খুশির আভা চড়িয়ে পরেছে দেখতে পেলাম| মনে মনে বললাম, সজল তিশাকে ফিরিয়ে দিয়ে যে অপমান করেছিল ফান করেছি কথাটা শুনে অপমান টা ভালবাসায় পরিনিত হয়েছে|
তাদের কে সুন্দর জীবনের সাধুবাদ জানিয়ে আমি বাহিরে চলে এলাম| আর ভাবলাম মানুষ তার অনুগত মানুষ কে হারাতে চায়না|
( গল্পের পটভুমি নিউ ইয়র্ক )-ব্লগার টপু মামা-
" ভালবাসি ভালবাসি "
-ব্লগার টিপু মামা-
জ্যাকসন হাইটস যাবো, ভাবছি গাড়ি নেবো না ট্রেনে যাবো ? ট্রেনেই যাই আজ, ট্রেন যাওয়া হয় না অনেকদিন|সিদ্ধান্ত নিয়ে টিকেট কাটলাম |
ট্রেন উটে যতারিতি বাঙালি চেহারা দেখতে পেলাম না| সব সাদারা , কিছু কিছু কালো ও আছে তবে কম |
সামনের একটা স্টেশন কিচুক্কন থেমে ট্রেন আবার চলতে শুরু করলো| ত্রিশ ডিগ্রী এঙ্গেলে সামনের সিটে একটা বাঙালি চেহারার এক মেয়ে বসে আছে দেখতে পেলাম, মনে Holo এই মাত্র থেমে যাওয়া স্টেশন থেকে উটেছে |বাঙালি না হয়ে ভারতী হতে পারে | আমি আর সামনের দিকে না থাকিয়ে চোখ বুজে হালকা ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম |
কিছুক্ষণ পর পাশের সিটে বসে পড়ল কেউ এমনটা অনুভব করলাম| চোখ খুলে পাশে থাকাতেই দেখতে পেলাম সেই মেয়েটি |
আমি কিছু বোঝে উটার আগেই মেয়েটি বললো : আপনার নাম জুয়েদ তাইনা ?
:জ্বি , আপনি?
: তিশা
: আপনাকে তো চিন্তেপারলাম না| অবাক হয়ে বললাম|
: আপনি আমাকে চিনবেন না , আমি আপনাকে চিনি , আপনার ফেইসবুকে ছিলাম অনেক দিন|
: ছিলেন , এখন নেই ?
: না
আমি বললাম , ও আচ্ছা , নেই কেন কোন সমস্যা ?
:জ্বি. অনেক সমস্যা , আপনাকে চ্যাটে অনেক দিন হাই , হ্যালো বলে ও কোন উত্তর পাইনি , তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে আনফ্রেন্ড করতে হয়েছে |
আমি বললাম , আসলে আমি চ্যাট করিনা করতে পারিনা ,২/৩মিনিটের বেশি থাকতে পারিনা আবার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে থাকা এটাও করতে পারিনা , আমার এফবি ফ্রেন্ড সবাই প্রায় এটা জানেন , আমার সব কথা হয় স্টেটাস আর কমেন্টে |
: আপনার স্টেটাস গুলা হয় বিরহমূলক
: যেমন?
: এই যে কয়েকদিন আগে লিখলেন
"তোমর বাড়ির পাশের বাড়ি আমার
আমার পাশের বাড়ি তোমার
তবুও হয়না দেখা
আজন্ম আমরা থাকি একলা একা"
: এ স্টেটাস এর সাথে আপনার কি সম্পর্ক ? বললাম আমি|
একটু চুপ থেকে মেয়েটি বলল: আমার জীবনের সাথে এটা মিলে গেছে |
আমি অবাক হয়ে বললাম: কেমন করে? খোলে বলুন তো ?
এক পলক চোখের দিকে তাকিয়ে , চুপ করে রইলো তিশা| আনমনে কথা বলছে এমন ভাবে বলল : আমার পাশের বাসায় একটা ছেলে থাকে,ওর নাম সজল, আমি ওকে খুব পছন্দ করি কিন্তু আমাদের কাজের সিডিউল এর কারণে দেখা হয়না, আমি যখন কাজে যাই ও থাকে ঘুমে, আমি যখন কাজ থেকে ফিরি তখন ও থাকে কাজে| আমি বললাম: সজল কে কি আপনি ভালবাসেন ?
: জ্বি
:বলেছেন থাকে?
: হাঁ,
: সে কি বলল?
: সে আমায় ভালোবসেনা| তিশার চেহারাতে বেদনা দেখতে পেলাম|আমি বললাম সত্যিই কি সে আপনাকে ভালবাসেনা? এটা কনফর্ম হয়েছেন?
: হাঁ , থাকে ভালোবাসি বলার পর সে সুজাসুজি না করে দেয় | আজ এক বছর প্রায় এরপর থেকে তার সাথে দেখা হয়না, আর আমি ও লজ্জায় তার সাথে দেখা করিনা ইচ্ছে করে|
আমি কি বলব বোঝতে পারছিলাম না| একটু চুপ থেকে তিশা কে বললাম: একটা কাজ করতে পারবেন?
তিশা বলল : কি কাজ বলুন|
: আপনি একদিন সময় বের করে সজলের সাথে দেখা করবেন, এবং বলবেন যে, আপনি থাকে ভালবাসেন না| এটা তার সাথে মজা করেছেন|
: এতে কি উপকার হবে আমার?
: আর কিছু না হউক, নিজের কাছে যে লজ্জায় মরছেন সেটা থেকে তো বাঁচবেন| বলে আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম |
সামনেই জামাইকা স্টেশন | তিশাকে বললাম : আমি সামনের স্টেশনে নেমে পড়ব , আমাকে আবার জ্যাকসন হাইটসের "ই "ট্রেন ধরতে হবে |
তিশা বলল: আচ্ছা তাহলে দেখা হবে| আমি বিদায় নিয়ে চলে এলাম |
মাস তিনেক পর আমি আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে জ্যাকসন হাইটস প্রাইম রেস্টরেরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছি| কে এক জন ডাক দিল : জুয়েদ ভাই এই টেবিলে আসেন| আমি চেয়ে দেখি তিশা হাত নেড়ে আমায় ডাকছে | সাথে একটা ছেলে বসা| আমার দুই টেবিল পরে ওরা বসেছিল| গেলাম |
বললাম: কি তিশা কেমন আছ?
তিশা বলল: ভালো আছি| ওর নাম সজল , বলে পাশে বসা ছেলেটাকে দেখালো| আমি সজলের সাথে হাত মিলালাম| সজল আমায় বসতে বলল, আমি তাদের সামনা সামনি চিয়ারটায় বসলাম| তিশা বলল: জুয়েদ ভাই আপনার পরামর্শে কাজ হয়েছে|
: যেমন ?
: আমি যখন সজল কে বলি ফান করেছিলাম সত্যি ভালবাসিনা, সে তখন কিছু বলেনি মুখ কালো করে চলে গেছিল| অমা পরদিন দেখি ওর আম্মুকে নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির| সরাসরি আমার আম্মুর কাছে ওর আম্মু আমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেন| আমাদের পরিবারের সবাই রাজি হয়ে যান| এখন আমরা দেশে গিয়ে বিয়ে করব| তাই কিছু বাজার করতে জ্যাকসন হাইটস এসেছি|
অনেক লম্বা কথা বলে তিশা হাসছিল| তার চোখে মুখে খুশির আভা চড়িয়ে পরেছে দেখতে পেলাম| মনে মনে বললাম, সজল তিশাকে ফিরিয়ে দিয়ে যে অপমান করেছিল ফান করেছি কথাটা শুনে অপমান টা ভালবাসায় পরিনিত হয়েছে|
তাদের কে সুন্দর জীবনের সাধুবাদ জানিয়ে আমি বাহিরে চলে এলাম| আর ভাবলাম মানুষ তার অনুগত মানুষ কে হারাতে চায়না|
( গল্পের পটভুমি নিউ ইয়র্ক )-ব্লগার টপু মামা-
Monday, January 20, 2014
আবেশ বুঁদে চক্ষু মুদে হুবহু তোর শরীর বোনা..
বালাই নেই ক্ষণ গণনার
লগন কষার পুরুত ঠাকুর
এই পুজোটা নিজের মতো শুধুই আমার
অনেকগুলো ছায়ার স্মৃতি
এমএমএসে শরীর কণা
যজ্ঞ কঠিন
মাটি ছেনে বিন্দু মিলাও
ঠিক যেভাবে উন্মোচিত
ঠোট নাক মুখ
তিল ক'খানা
জরির জুতো
লাল কাচুলি আকড়ে থাকা
প্রিয়তম লিম্ফোডিয়াম
এই পুজোতেই নিত্য আছি
ধারাবাহিক উপাসনায়
তোর কামনায়
আবেশ বুঁদে চক্ষু মুদে
হুবহু তোর শরীর বোনা
জপতে থাকা
প্রেম পুজারীর
মন্ত্রপুত প্রণয় স্তবক
লাভ ইউ ভীষণ, শ্যাম প্রতীমা
(আধার সিরিজ-৫)
-ব্লগার টিপু মামা-
একটি জীবন... বেড়ে উঠা... হাটি হাটি পা পা করে স্কুল থেকে কলেজ কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি... তারপর সেই মধ্যবিত্ত চাকুরে জীবন...।
একটি জীবন...বেড়ে উঠা...
হাটি হাটি পা পা করে স্কুল থেকে কলেজ কলেজ
থেকে ইউনিভার্সিটি... তারপর সেই মধ্যবিত্ত
চাকুরে জীবন...।
আজকে কোন কারণে স্যারের পড়াতে ইচ্ছে করছিল
না... স্যার নিজের চাকরীর ইন্টারভিউর
অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন আমাদের। স্যার
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা নেই।
পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর তার উপর চাপ ছিল
ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দেয়ার। যখন একটার পর
একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কোথাও কিছু
হচ্ছিল না... ঠিক সেই মুহুর্তে উনি শুনতেন এই বন্ধু
ওই বন্ধু চাকরী পেয়ে যাচ্ছে...মানবিক গুনের
কারণে উনার কাছে ব্যাপারটা হতাশার, কারণ
একে একে সবার গতি হয়ে যাচ্ছিল
তিনি ছাড়া...ইন্টারভিউ বোর্ডের
আজাইরা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন শুনে যখন
বুঝতে পারতেন এখানেও টাকার
খেলা ইচ্ছে করতো সার্টিফিকেটটা ছিরে ফেলতে...।
আসলেই জীবনের একটা পর্যায়ে মধ্যবিত্ত
পরিবারের সন্তানদের কমবেশি এটা ফেস
করতে হয়।
বড়লোকের ছেলেরা সুপারিশের ঠেলায় সহজেই বড়
বড় পোস্টে জয়েন করতে পারে। কেউবা বাবার
ব্যাবসা ধরে।
স্যারের কথা শুনছিলাম আর ভাবছিলাম, থার্ড ইয়ার
প্রায় শেষ... কয়দিন পরেই ফোর্থ
ইয়ারে ...মানে ফাইনাল ইয়ার...
দেখতে দেখতে কেটে যাবে... তারপর পৃথিবীর
সমস্ত টেনশান মাথার রিসিভারে আঘাত
করতে থাকবে একে একে... হঠাত করেই কুয়োর ব্যাঙ
যেন সাগরে এসে পড়বে।
থাকবেনা আজকের এই বন্ধুত্ব আড্ডা হাসি...
কিংবা গল্প... প্রতিযোগিতার
ভিরে সম্পর্কগুলো আস্তে আস্তে হারানো শুরু করবে...
কারও খবর থাকবে কিংবা কারও থাকবেনা...
বাবার হোটেলের ছাদের নিচে আর
বসে থাকা যাবেনা... আর ছাদ
ছেড়ে বাইরে যাওয়া মানেই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা... ।
-ব্লগার টিপু মামা-
Subscribe to:
Posts (Atom)