তাল বিষয়ক একখানা বায়োমেট্রিক অভিসন্দর্ভ..
-------------------
-------------------
গাছের ‘তাল’ আর নৃত্য-গীতের ‘তাল’র বানান এক,তবে চীজ কিন্তু আলাদা। একটারে হাতে ধরা যায়,মাথায় নেয়া যায়,চাইলে আছাড়ও মারা যায় কিন্তু অন্যটারে হাত কিংবা পা কোন কিছু দিয়ে বাঁধা যায় না,ছোঁয়াও যায় না। কেবল ইন্দ্রিয় নামক অদৃশ্য এক যন্ত্র দিয়ে ধরা যায়,বোঝা যায়,অনুভব করা যায়।
তালের আবার যন্ত্রও আছে,যাকে বলে ‘তালযন্ত্র’।
তাল কিন্তু ঋতু প্রেমি,ভাদ্রের সাথে তার গভীর প্রেম।
তাল নিয়ে ঢংও কম নয় । জীবনে যে তাল দেখে নাই,খায় নাই,সেও খুববেশী গরম পড়লে,হাঁসফাঁস করে আর বলে,‘তালপাঁকা গরমে জীবন যায় যায়’।
তাল কিন্তু শৃংখলা মানে,যেমন প্যারেড। সবাই কেমন তাল মিলিয়ে তালে তালে হাঁটে,খুব সুন্দর লাগে,তালে হাঁটা।
চাটুকারেরাও কিন্তু তাল থেকে দূরে না। নেতা বক্তৃমা শুরু করলে,ভাল মন্দ যাই বলুক এরা তুুমুল তালে তালিয়া বাজায়।
তলে তলে খোঁজ নিয়ে দেখেন গিয়া,জামাই আদরে তালের শাঁষ,তেলে ডুবানো তালের পিঠার বাজার কিন্তু মন্দা না।
সময়ের সাথে,সংসারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে কিন্তু খবর আছে,সবাই ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে টপকে যাবে।
তাল কিন্তু দানবীরও বটে, ত্রি-তাল,বুহিতাল,হরতাল,চাতাল,পাতালের মত অসংখ্য শব্দ সাপ্লাই দিয়ে সে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে ঋদ্ধ করেছে।
বাংলার কবিকুল কিন্তু তাল বিমুখ ছিলেন না,তাহারা তাল লইয়াও কাব্য রচনা করিয়াছেন,যেমন..
“তাল কাটোরে তাইল্যা ভাই
তালের ডগা দিয়া,
হাত্তি নাচে,ঘোড়া নাচে,
তাল খাইয়া খাইয়া।”
সবশেষে বলি
তালের মধ্যে কিন্তু কঠিন বেতালও আছে,একটু-আধটু সোমরস,সুরার সুগন্ধি নাকে গেলে অনেকেই দিব্যি বে-তাল হয়ে পাতালে গড়াগড়ি খান।__ব্লগার টিপু মামা__
No comments:
Post a Comment